হোম এক্সক্লুসিভ চট্টগ্রামে নতুন করে বন্যার শঙ্কা নেই: ডা. এনামুর রহমান

জাতীয় ডেস্ক:

টানা পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা মারাত্মকভাবে প্লাবিত হলেও, বৃষ্টি কমে যাওয়া এবং পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে আর বন্যার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

বুধবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য দেন তিনি।

এনামুর রহমান বলেন, গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠিয়েছি। আজ আমরা জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে চকরিয়া, পেকুয়া, লোহাগড়ায় ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টানা পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলা; কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা; বান্দরবানের রামু উপজেলা এবং রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির কিছু জায়গা মারাত্মকভাবে প্লাবিত হয়। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। এখন বৃষ্টি নেই। পানি কমতে শুরু করেছে। তাই নতুন করে আর বন্যার আশঙ্কা নেই।’

তিনি বলেন, সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে।

গত ৩ জুলাই প্রতিটি জেলায় আপৎকালীন দুর্যোগ মোকাকিলায় ২০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছিল জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রধানমন্ত্রী সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আজও ফোন দিয়ে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।’

এবার বৃষ্টিপাত দেখে পাহাড়ি এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার পাহাড়ধসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা ও এক সন্তান মৃত্যুবরণ করেছে। এ ছাড়া পেকুয়ায় মাটিরঘর ধসে তিনজন মারা গেছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবে বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন