জাতীয় ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বরিশালে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৩ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও মধ্যরাত থেকে মুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডের সকল রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি দমকা হাওয়াও বইছে বরিশালে। এতে নগরবাসীর বিপাকে পড়েছে।
বরিশাল নগরীর বটতলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখানে চলাচলের প্রধান সড়কটিতে হাঁটু পানি জমেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে এ এলাকার বাসিন্দারা। একই অবস্থা নগরীর অক্সফোর্ড মিলন রোড, গোরস্থান রোড, ভাটিখানা ও সদর রোড এলাকায়।
এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত ১০ বছরে এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে। প্রতিনিয়ত জনপ্রতিনিধিরা আশা দিয়ে থাকলেও এর কোন সমাধান করেনি। তবে নতুন মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে জলাবদ্ধতা নিরসন করবেন। সে অনুযায়ী ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও যদি আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন না হয় তাহলে দুঃখের শেষ থাকবে না।
তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করার কথা জানিয়েছেন সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত। দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নগরীর সব খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কারের পাশাপাশি ড্রেন পরিষ্কার ও মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবেন তিনি।
এদিকে বৈরী এ আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটে সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর উপ-পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নদী বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত থাকায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে লঞ্চসহ সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত বলবত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৯ টা পর্যন্ত বরিশালে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জেলে ও মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল জেলায় ৫৪১ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে সিপিপির সদস্যরা।