হোম খেলাধুলা ‘ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ’, মনে করছেন পাক অধিনায়ক

খেলাধুলা ডেস্ক :

দেশের মাটিতে ক্রিকেট নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিকল্প ভেন্যু হিসেবে গত এক যুগ ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকেই ব্যবহার করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আর তাই সেখানকার কন্ডিশন একেবারেই নখদর্পনে বাবর আজমদের। যে কারণে আগামী অক্টোবরে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে নিজেদের ঘরের টুর্নামেন্ট বলে দাবি করছেন পাক অধিনায়ক।

সাম্প্রতিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট ফিরলেও সেই সময়টায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হোম ভেন্যু হিসেবে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠগুলো। টানা কয়েক বছর সেখানে নিয়মিত খেলায় সেই কন্ডিশন সম্পর্কে অন্য দেশের খেলোয়াড়দের তুলনায় বেশিই ধারণা রয়েছে বাবর-আফ্রিদিদের।

ঠিক সে কারণেই এবারের বিশ্বকাপকে পাকিস্তানের ঘরের টুর্নামেন্ট দাবি করেছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরটি একপ্রকার ঘরের মাঠে খেলার মতো। কারণ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের হোম ভেন্যু ছিল।’

আরও বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠগুলোতেই শীর্ষ দলগুলোকে পরাজিত করে আইসিসির এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল হয়েছি। তাই আমাদের ভালো করার সম্ভাবনাও বেশি এখানে।’

উল্লেখ্য, সময়টা ২০০৯ সালের মার্চ, লাহোর টেস্টের তৃতীয় দিনে হোটেল থেকে মাঠে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কা দলের বাস সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। আহত হন বেশ কজন লঙ্কান ক্রিকেটার। এরপর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ করে আইসিসি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের গ্রুপ-২ তে পাকিস্তান। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দুই দল। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। জানা গেছে, বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ আগামী ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর ২৬ অক্টোবর পাকিস্তান খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর। ১১ তারিখ হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ফাইনাল মাঠে গড়াবে ১৪ নভেম্বর। কোনো কারণে নির্ধারিত তারিখে ফাইনাল ম্যাচ মাঠে না গড়ালে ১৫ তারিখ রিজার্ভ ডে-ও রাখা হয়েছে।

এদিকে, দুই মাস হাতে রেখেই সাজ সাজ রব শারজাসহ অন্য স্টেডিয়ামগুলোতে। মূলত শারজাহ, আবুধাবি, দুবাইতে অবস্থিত তিনটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এবার বিশ্বকাপের আগেই শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি তারা অনুশীলনের নতুন পরিকাঠামো তৈরি করছে যেখানে চারটি টার্ফ উইকেট থাকছে এবং চারটি অ্যাস্ট্রোটার্ফ উইকেট থাকছে, যাতে একসাথে একাধিক দল অনুশীলন করতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন