খেলাধূলা ডেস্ক :
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে কপাল পুড়েছে অস্ট্রেলিয়ার। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ছিটকে গেছে গ্রুপপর্ব থেকেই।
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ে অক্ষুন্ন রইল বিশ্বকাপের এক রেকর্ড। ২০০৭ সাল থেকে ২০২২। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আট আসরে স্বাগতিক দেশ কখনো শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি।
নিজেদের সবশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে তাদের সেমির পথে বড় বাধা ছিল ইংল্যান্ড। লঙ্কানদের বিপক্ষে ইংলিশরা হারলেই কেবল অস্ট্রেলিয়ার শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ থাকতো। তবে সম্ভাবনা উবে গেছে ইংল্যান্ডের চার উইকেটের জয়ে।
গ্রুপ-১ এর সব ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া, তিন দলেরই পয়েন্ট সমান। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে থেকে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সমান ৩ জয় ও এক হার সত্ত্বেও নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ও সবশেষ দল হিসেবে গ্রুপ ওয়ান থেকে শেষ চারে উঠে গেছে ইংল্যান্ড। রানরেট কম থাকায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।
গেল সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এবার সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর বসেছে তাসমান পাড়ের দেশ অস্ট্রেলিয়াতেই। তবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ নেয় রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের বিপক্ষে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যাঙ্গারু বাহিনী। তবে প্রথম ম্যাচের সেই বড় ব্যবধানে হারের মাশুলই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল অ্যারন ফিঞ্চদের জন্য। আর তাই নিজ ঘরেই এখন কেবল দর্শক হয়ে থাকতে হবে তাদের।
বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যারা
দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৭) ভারত
ইংল্যান্ড (২০০৯) পাকিস্তান
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০১০) ইংল্যান্ড
শ্রীলঙ্কা (২০১২) ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বাংলাদেশ (২০১৪) শ্রীলঙ্কা
ভারত (২০১৬) ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সংযুক্ত আরব আমিরাত (২০২১) অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া (২০২২) ———–