জাতীয় ডেস্ক:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের গড় আয়ু বাড়াতে হবে। সেটা করতে হলে নিরাপদ খাদ্যগ্রহণের ব্যতিক্রম হলে চলবে না। তৈলাক্ত খাবার পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সেইফ ফুড কার্নিভালের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পঁচা খাবার পরিহার করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, আয়ুষ্কাল বাড়বে এবং মেধার দিক দিয়ে আমরা অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন হব।
নিরাপদ খাবারের সঙ্গে নেতৃত্বের সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যের আশ্রয়গ্রহণ করলে তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশসহ বিশ্বের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে।
ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমরা সাধারণত বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। কিন্তু খাবার যদি উল্টা আমাকেই খেয়ে ফেলে তাহলে সে খাবার খাওয়া ঠিক না।
খাবারকে বিষক্রিয়ায় পরিণত না করার আহ্বান করে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ করলে পুরো দেশ হবে দশে দশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য খাদ্য উৎপাদন পরিবেশন ও সংরক্ষণে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয় সেইফ ফুড কার্নিভাল। রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে মোট ৭০টি প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য নিয়ে কার্নিভালে হাজির হয়। পিঠা প্রতিযোগিতা, আঞ্চলিক বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ম্যাজিক শো, পুতুল নাচ, জিআই পণ্য নিয়ে সেমিনার ও বিভিন্ন নামী ব্যান্ডের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ট্রান্সফ্যাট, পোড়াতেল, ফরমালিন, পারিবারিক নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা, ‘১৬১৫৫’, খাদ্যকথন, কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা এবং নিরাপদ খাদ্যের চাবিকাঠিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয়।