অনলাইন ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আব্দুস সামাদ নামে এক ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্তের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের জামিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে জামিলা গ্রামের জনসাধারণ এসিল্যান্ডের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মাঝবাড়ি-রাধাগঞ্জ সড়কের জামিলা নামক স্থানে এলজিইডির একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ চলছে। এই কাজের ঠিকাদার আব্দুস সামাদকে খাল থেকে মাটি তোলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে চড় মারেন কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত। এ সময় উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আজম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনজুরুল হক ও নির্মাণশ্রমিকসহ অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হলে প্রতীক দত্ত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
শ্রমিক আবুল বাশার জানান, আমরা ব্রিজ নির্মাণের সময় রাস্তার মাটি কেটে খালের কিনারায় রাখি। এখন কাজ শেষ হওয়ায় ব্রিজের দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের জন্য সেই মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে খাল থেকে উত্তোলন করে দিচ্ছিলাম। এ সময় এসিল্যান্ড স্যার আসেন। তিনি ঠিকাদার সামাদকে খাল থেকে মাটি উত্তোলন নিয়ে বকাঝকা করে কাজের সাইড থেকে চলে যেতে বলেন। একপর্যায়ে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে এসিল্যান্ড স্যার উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদারের গালে চড় মারেন। ঠিকাদার পড়ে যান। এতে তার পায়ের আঙ্গুল কেটে যায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
জামিলা গ্রামের হান্নান শেখ বলেন, এসিল্যান্ড যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তা আসলেই ন্যক্কারজনক। আমরা তার কঠোর শাস্তি চাই।
ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, এসিল্যান্ড আমার সঙ্গে যা করেছে, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উপর মহল থেকে আমার শ্বশুর ইউনুস শরিফের সঙ্গে মীমাংসার দিকে গেছে। আমাকে কিছু বলতে বলবেন না। উপর মহল থেকে ঝামেলায় আছি।
ইউনুস শরিফ বলেন, আমার জামাইকে চড় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এসিল্যান্ড মঙ্গলবার রাতে আমার কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত বলেন, আমার সঙ্গে ঠিকাদার আব্দুস সামাদের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। ঠিকাদারকে চড় মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে ঘটনা ঘটেছে, তা মীমাংসা হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।