রাজনীতি ডেস্ক:
গোপালগঞ্জ- ১ আসনের মুকসুদপুরে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ৩টি দোকান ও ৮টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। আহতদের মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মোচনা ইউনিয়েনর শুয়াশুর গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়ার ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এসময় সংঘর্ষকারীরা ৩টি দোকান ও রাজ্জাক শেখ, মারুফ শেখ, নওসার শেখ, রবিউল শেখের বাড়িসহ প্রায় ৮ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। মারাত্মক আহত ফিরোজ শেখ (৬৫), রুবেল শেখ (৩৫), বিপ্লব শেখ (৩০), তানিয়া আক্তার (২২), শামিম শেখ (৩৫), রসুল শেখ (৩০), কাদু শেখসহ (৫০) প্রায় ২০ জনকে মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মুকসুদপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে থানায় আনা হয় এবং পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।