হোম অন্যান্যসারাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে মোংলা বন্দর, সক্ষমতা বাড়লে আয় বাড়বে চার গুন

গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে মোংলা বন্দর, সক্ষমতা বাড়লে আয় বাড়বে চার গুন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 165 ভিউজ

সোহাগ মোল্লা:

মোংলা দেশে আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে মোংলা বন্দর। সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নত এবং বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে আগামী দু’ বছরের মধ্যে এ বন্দরের আয় বাড়বে চারগুন। বর্তমানে গাড়ী আমদানিতে এগিয়ে থাকা এ বন্দরের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, পশুর নদীর নাব্য সংকট নিরসন করে ও জেটির সংখ্যা বাড়লে আগামীতে এই বন্দর আধুনিক বন্দরে রুপ নেবে। বন্দর ব্যবহারে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার সংঙ্গে ৭০ কিলোমিটারের দূরত্ব কম হওয়ায় চট্রগ্রামের পর আমদানি-রপ্তানিতে সচল হয়ে উঠছে মোংলা বন্দর।

নির্মাণের ২০ বছর মৃতপ্রায় বন্দরটি সচল করতে ২০০৯ সালে পুরোদমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দরটির গতিশীল বাড়াতে এরই মধ্যে ঢাক-মোংলা চারলেন সড়ক, পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে, এর সাথে যুক্ত হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প। বর্তমানে আমদানি-রপ্তানির ছয় থেকে আট ভাগ সম্পন্ন হয় এই বন্দর দিয়ে। উন্নত সড়ক ব্যবস্থাপনা, মোংলা কেন্দ্রিক ইপিজেড নির্মান ও বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হলে সেটি ২০ ভাগে উন্নত করা সম্ভব বলে মনে করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি বলেন, এক সময় এই বন্দরে বছরে জাহাজ আসতো ১০০ টি।

আর এখন মাসেই আসে ৮০, ৯০ থেকে ১০০ টি জাহাজ। একই ভাবে গত ১০ বছরে এই বন্দরে ৩০ ভাগ কার্গো ও ৪০ ভাগ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। ভবিষ্যতে এর কার্যক্রম বাড়াতে হলে সক্ষমতা আরও কয়েকগুন বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যে বন্দরের মূল ৫ টিসহ মোট ১৩ জেটির পাশাপাশি আরও ৯ টি জেটি নির্মাণেরও পরিকল্পনা আছে বলেও চেয়ারম্যান জানান। বন্দরের চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পশুর চ্যানেল আছে।

এই চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি করা, মোংলা-খুলনা রেল কানেকশনটা হবে, পদ্মা সেতু যখন নির্মাণ শেষ হবে তখন মোংলা বন্দরের ব্যবহার চারগুন বেড়ে যাবে”। এদিকে বন্দরের সবচেয়ে বড় সমস্যা নাব্য সংকট। যেখানে পণ্যবাহী বড় জাহাজ আনলোড করতে হয় বন্দর চ্যানেলের অদূরে হারবাড়িয়া পয়েন্টে। বন্দর ব্যবহারকারী ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম ও এইচ এম দুলাল বলেন, হারবাড়িয়ার ৭, ৮, ৯ ও ১০ বয়ায় ড্রেজিং করা হলে এই বন্দর অনেক বেশি গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

আর পশুর চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি ও চারলেন মহাসড়ক নির্মাণ করে মোংলাকে আধুনিক বন্দর করতে পারলে দেশের ব্যানিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলেও জানান এই ব্যবসায়ীরা। নাব্য সংকট নিরসনের বিষয়ে জানতে চাইলে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শতকত আলী বলেন, “আমাদের জেটি থেকে হারবাড়িয়া ১০ নম্বর বয়া পর্যন্ত (ইনারবার) ড্রেজিংয়ের জন্য অলরেডি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে”। প্রকল্পটির দরপত্রও গ্রহন করা হয়েছে, এখন এর মূল্যায়নের কাজ চলছে। আর এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হলে পশুর চ্যানেলে নাব্য সংকট দূর হবে বলেও জানান এই প্রকৌশলী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন