নিউজ ডেস্ক:
গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলা থেকে বর্তমান ও সাবেক ১২ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার ১৩ আসামির মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার আছেন।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক তিন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
আজ এই তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। পরে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তাঁরা স্বীকার করেন কি না। জবাবে উপস্থিত তিন সেনা কর্মকর্তা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এ মামলার অপর ১০ আসামি পলাতক। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
পলাতক আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।
এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকও এই মামলার আসামি। তাঁরাও পলাতক।
এ মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
