আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পবিত্র রমজান মাসেও গাজায় চলছে ইসরাইলি বহিনীর নির্মম বর্বরতা। বুধবার (১৩ মার্চ) গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের একটি ত্রাণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার এক কর্মীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা বলেছে, ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে এবং এতে তাদের একজন কর্মী নিহত এবং আরও ২২ জন আহত হয়েছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্লজ্জ অবহেলায় তাদের স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে ইসরাইলি সেনবাহিনীর দাবি, তারা হামাস কমান্ডারকে হত্যা করেছে। আর নিহত ওই ব্যক্তিকে মোহাম্মদ আবু হাসনা হিসাবে শনাক্ত করেছে সেনারা।
ইসরাইলের অভিযোগ, তিনি রাফাহ এলাকায় হামাসের সামরিক শাখার ‘কমব্যাট সাপোর্ট অপারেটিভ’ ছিলেন। আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেয়া নিহত পাঁচজনের নামের তালিকায় এই নামের একজন ব্যক্তিও রয়েছেন।
গাজায় একদিকে চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। আরেকদিকে বিমান থেকে লোক দেখানো ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি হামলাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি এবার গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে জার্মানিও।
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী সমুদ্র বন্দর তৈরির কার্যক্রমের মধ্যেই প্রথমবারের মতো সাইপ্রাস থেকে একটি ত্রাণবাহী জাহাজ রওনা দিয়েছে। বুধবার সাইপ্রাসের সমুদ্র বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশ্যে ত্রাণবাহী জাহাজটি ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম ইসরাইলের নতুন একটি স্থলপথ ব্যবহার করে উত্তর গাজায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। গাজা সীমান্ত বরাবর একটি ইসরাইলি সামরিক রাস্তা ব্যবহার করে এ এগুচ্ছে ত্রাণবহর। গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসার আগে আরও বেশি ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরাইলের ওপর বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ বাড়তে থাকার মধ্যে মঙ্গলবার এই নতুন পথে ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে।