হোম আন্তর্জাতিক গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 31 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টায় জড়িত সকল পক্ষকে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ মিশরে সোমবার (৬ অক্টোবর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। এই আলোচনা শুরু হচ্ছে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার কিছু অংশে সম্মতি জানানোর পর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, জিম্মি মুক্তি ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধে চলতি সপ্তাহান্তে হামাসসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অত্যন্ত ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যে বহুদিনের প্রত্যাশিত শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘এসব আলোচনা খুবই সফলভাবে ও দ্রুত এগোচ্ছে। চূড়ান্ত বিষয়গুলো নির্ধারণের জন্য কৌশলগত দলগুলো সোমবার আবার মিসরে মিলিত হবে। আমাকে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের আলোচনা এই সপ্তাহেই শেষ হবে। আমি সবাইকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ— নইলে ভয়াবহ রক্তপাত ঘটবে।”

এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করছেন “খুব শিগগিরই” জিম্মিদের মুক্তি শুরু হবে।

এরই মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। যদিও হামাস প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেওয়ার পর শুক্রবার ট্রাম্প ইসরায়েলকে “তাৎক্ষণিকভাবে বোমা হামলা বন্ধ” করতে বলেছিলেন।

ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেডরোসিয়ান রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, “গাজা উপত্যকার ভেতরে কিছু বোমাবর্ষণ সত্যিই বন্ধ হয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি।”

গাজা থেকে আসা প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলা ও ট্যাংক গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে, যাতে গাজা শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিবিসির অংশীদার সিবিএস নিউজকে বলেন, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে।

এই আলোচনা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, যা হয়ত সংঘাতের অবসানের পথে কোনও বাস্তব অগ্রগতি এনে দিতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন