আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামাসের অভিযানের পর গাজায় লাগাতার বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। আকাশপথের পাশাপাশি ইসরাইলি বাহিনী এবার গাজা উপত্যকায় স্থল ও সমুদ্রপথে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে। এরই প্রেক্ষিতে ইসরাইলকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে ইরান।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন, ইসরাইলি সেনারা যদি গাজায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজাকে দখলদার সেনাদের সমাধিক্ষেত্রে পরিণত করবে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই এমন মন্তব্য করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলকে রক্ষায় এগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে যুদ্ধের পরিধি বিস্তৃত হলে আমেরিকারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
এর আগে শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে, গাজায় তাদের আসন্ন অভিযানকে ‘বিস্তৃত পরিসরের’ আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তবে কবে, কখন এই হামলা শুরু হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেনি তারা।
এতে বলা হয়, ‘ইসরাইলি বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় যুদ্ধসরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। কৌশলগতভাবে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযানে বিপুলসংখ্যক রিজার্ভ সেনা অংশ নেবে।’
এদিকে ইসরাইলকে সহায়তায় আরও একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড’ রোধ করতে এই রণতরী পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি দেশটির।