জাতীয় ডেস্ক:
এক সপ্তাহের অধিক সময়ের টানা ভাঙনে বিলীন হয়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের মুন্সীরহাট এলাকার শতাধিক বাড়িঘর। এছাড়াও নদীগর্ভে চলে গেছে বেশ কয়েকটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি সংগঠনের অফিস। অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, মুন্সীরহাট বাজারসহ কয়েকটি সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে এসব মানুুষ আশ্রয় নিয়েছে পাশের মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও আশপাশের বাজারের সেডঘরসহ খোলা আকাশের নিচে। ভয়াবহ ভাঙনে পরিবার শেষ সম্বলটুকু নিতে পারেননি অনেকে, চলে গেছে নদীতে। এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভাঙনকবলিত এসব মানুষ। তাদের কাছে পৌঁছায়নি সরকারি কোনো ত্রাণ বা সহায়তা। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর দিন কাটছে অর্ধাহারে অনাহারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুকনো মৌসুমে কিংবা পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেই সাথে ভাঙন মোকাবিলায় চলমান জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজেও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তারা। বলছেন ডাম্পিং করা বস্তায় বালুর বদলে দেয়া হচ্ছে মাটি ও আবর্জনাসহ বালু। ফেলা হচ্ছে না পর্যাপ্ত বালুর বস্তাও।
স্থানীয় বাসিন্দা মমিন মিয়া জানান, চলমান এ ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে মুন্সীরহাট বাজার, মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধ।
অভিযোগের বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে। এ এলাকায় দ্রুত স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থার কাজ শুরু করা হবে।
মুন্সীরহাটের ১ কিলোমিটার অংশসহ জেলায় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের প্রায় ১৫টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে এমন নদী ভাঙন। প্রতিদিন ভাঙছে নতুন নতুন এলাকা।