হোম জাতীয় গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাই বন্ধ ও বেতন-ভাতা পরিশোধের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাই বন্ধ ও বেতন-ভাতা পরিশোধের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

কর্তৃক
০ মন্তব্য 114 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ বুথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ বুথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরিচ্যুতি বন্ধ ও তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠান কর্ণধারদের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১১ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ব্র্যাকের সহায়তায় ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ বুথ’ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু মিডিয়া হাউজে চাকরিচ্যুতি ঘটেছে, অনেকের বেতন দেওয়া হয়নি। ‘আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেমন- সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন- এদের কর্ণধারদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, মহামারির এই দুঃসময়ে দয়া করে কাউকে চাকরিচ্যুত করবেন না এবং যাদের বেতন বাকি আছে তা দিয়ে দিন। কারও অপরাধ থাকলেও শাস্তি দেওয়ার সময় এটি নয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা হয়তো বলবেন সমস্যা আছে, কিন্তু আমি বলবো, আগে সমস্যা ছিল না এবং কয়েক মাস পরেও সমস্যা থাকবে না।’

সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা যাতে ঠিকমতো হয়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ক্রোড়পত্রের বিল দেওয়ার ব্যবস্থা করছি আমরা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের সংস্থা থেকে গণমাধ্যমের যত বিল বাকি আছে সেগুলো পরিশোধ করার জন্য। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেও একটি তাগাদাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এসব বিলের পরিমাণ শত শত কোটি টাকা। মালিকপক্ষ নিশ্চয়ই যোগাযোগ রাখছেন ও তারা সহসাই বিল পাবেন। ইতোপূর্বে কখনও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এরূপ চিঠিও দেওয়া হয়নি। এখন দেওয়া হয়েছে, যাতে গণমাধ্যম, বিশেষত সংবাদপত্রে কারও বেতন-ভাতা বকেয়া না থাকে সেজন্য।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি সবসময় মন্ত্রী ছিলাম না কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম। এখন আমার দায়িত্ব আপনাদের সঙ্গে থাকা, আমি আছি। যখন মন্ত্রী থাকবো না, তখনও আপনাদের সঙ্গে থাকবো। সাংবাদিকদের বিপদে আপদে সাহায্য করা ও কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমিও সবসময় আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন