হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনায় গৃহবধূ টুম্পা হত্যা মামলায় স্বামী সহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় গৃহবধূ টুম্পা হত্যা মামলায় স্বামী সহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 115 ভিউজ

খুলনা অফিস :

খুলনার ডুমুরিয়ার বাদুড়গাছা গ্রামে গৃহবধু টুম্পা মন্ডল (২৫) হত্যা মামলায় স্বামী প্রসেনজিৎসহ ৩ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ে ৩০২ ধারায় প্রসেনজিৎ গাইন, অনিমেষ গাইন ও বিপ্লব কান্তি মন্ডলকে মৃত্যুদন্ড, ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং লাশ গুম করার অপরাধে তাদের প্রত্যেককে ৭ বছর কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি সুদাশ গাইনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

হত্যা মামলার আসামী হচ্ছে, গৃহবধূর স্বামী সেনপাড়া গ্রামের পরিমল গাইনের পুত্র প্রসেনজিৎ গাইন (২৭), তার ভাই সুদাশ গাইন (২৯), একই গ্রামের অনাদি গাইনের পুত্র অনিমেষ গাইন (২৫) এবং কৈপুকুরিয়া এলাকার বিনয় মন্ডলের পুত্র বিপ্লব কান্তি মন্ডল (৩২)। এদের মধ্যে বিপ্লব ও প্রসেনজিৎ গাইন এখনও পলাতক রয়েছে।

আদালতের পিপি অ্যাড. এনামুল হক নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ৬ জুলাই প্রসেনজিৎ ডুমুরিয়ার চন্ডিপুর গ্রামের সুরঞ্জন মন্ডলের মেয়ে টুম্পা মন্ডলকে বিয়ে করে। এরপর প্রসেনজিৎ স্ত্রী টুম্পাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে মেনে নেয়নি। তারপরও প্রসেনজিৎ তাকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতে থাকে। কিছুদিন পর থেকে প্রসনজিৎ স্ত্রী টুম্পার কাছে যৌতুক দাবি করে। কিন্তু সে অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করা হয়।

এ ঘটনায় টুম্পা বাদী হয়ে স্বামী প্রসেনজিৎ গাইন, শশুর পরিমল গাইন ও শাশুড়ি কবিতা গাইনের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন।
এদিকে, মামলা তুলে নিতে বললে টুম্পা স্বামী প্রসেনজিৎকে জানায় পুত্রবধু হিসেবে মেনে নিলে ও যৌতুকের টাকা দাবি না করলে সে মামলা তুলে নিবে। এরপর থেকে টুম্পার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতো প্রসেনজিৎ।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর স্বামী টুম্পাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে পূজা দেখানোর কথা বলে কৌশলে নিয়ে বের হয়। উপজেলার ৭নং শোভনা ইউনিয়নের বাদুড়গাছা মাঠ মন্দিরের পূর্বপাশে ঘ্যাংরাইল নদীর পাড়ে বসে দুইজনের মধ্যে মামলা উঠানো নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। এরপর প্রসেনজিত সহ আসামীরা টুম্পাকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পানির নিচে ডুবিয়ে দেয়। ৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫ টায় ঘ্যাংরাইল নদীর পশ্চিম কিনারা থেকে পানিতে উপুড় হয়ে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন