হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনার মশিয়ালীতে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ ৩জন ৫দিনের রিমান্ডে

খুলনার মশিয়ালীতে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ ৩জন ৫দিনের রিমান্ডে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 76 ভিউজ

খুলনা অফিস :
খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি শেখ জাকারিয়া, তার ভাই মিল্টন ও অপর আসামী রাজুর ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শনিবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শাহীদুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক আসামিদের দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন। এর আগে শুক্রবার ঢাকার একটি বহুতল ভবন থেকে উক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, গত ১৬ জুলাই নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর শেখ জাকারিয়া, তার ভাই মিল্টন ও আরেক আসামী রাজু আত্মগোপন করে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকার ১৮ তলা একটি ভবন থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশ। তাদেরকে হত্যাকান্ডের কারণ এবং আরো কারা কারা জড়িত ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিলো। আদালত প্রত্যেককে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

উল্লে¬খ্য, মশিয়ালী গ্রামের একটি মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সভাপতির পদ থেকে শেখ জাকারিয়াকে পদত্যাগ করতে বলে মিল শ্রমিক মুজিবরসহ মসজিদের মুসল্লিরা। সকলের দাবীর মুখে বাধ্য হয়ে পদ থেকে সরে দাড়াতে সম্মত হয়ে ১৭ জুলাই জুম্মার নামাজের পর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর আগে ১৬ জুলাই বিকেলে জাকারিয়া ও তার ভাইয়েরা অস্ত্র দিয়ে মিল শ্রমিক মুজিবরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ও বিরোধ সৃষ্টি হলে প্রতিবাদি এলাকাবাসীর উপর জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন বাহিনী নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মশিয়ালী গ্রামের মৃত আঃ বারিক শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০), একই এলাকার মো. ইউনুছ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) এবং পরে এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে আটরা মেট্রো টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র সাইফুল ইসলাম (২২) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এবং গুলিবিদ্ধ হলে আফসার শেখ, শামিম,রবি,খলিলুর রহমান,মশিয়ার রহমান সহ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ নিহত হন। এছাড়া হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে গ্রামবাসী। এই ঘটনায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ।

১৮ জুলাই নিহত মোঃ সাইফুল ইসলামের পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-প্রচার সম্পাদক শেখ জাকারিয়া হোসেন জাকার, তার ভাই মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন, অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিল্টন সহ ২২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের (যার নং-১২, ১৮-৭-২০২০ইং) করেন। এই মামলার এজাহারভুক্ত ২২ জন আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন