রাজনীতি ডেস্ক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারপরও এই সরকার তাকে বিদেশে পাঠাতে দিচ্ছে না।
সোমবার (৯ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ আজ বুঝে গিয়েছে, খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতে পারলে শেখ হাসিনার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকরা স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশে আর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করা সম্ভব না। তারা বলেছেন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ যা করা দরকার তারা করেছেন। খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ জানিয়ে দিতে চায়, খালেদা জিয়ার জীবনের প্রতি যদি কোনো হুমকি আসে তবে দেশের মানুষ আর চুপ করে থাকবে না।
আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি দল মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নাই, কিছু আমলা আর প্রশাসনিক কর্মকর্তার প্রতিনিধিত্ব করে। এরা ফ্যাসিস্ট, আওয়ামী লীগ আর জনগণের দল নাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য। তখন দেশের মানুষের জন্য তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছিল।
দেশের মানুষের আজ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেশের মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না।
যারা আন্দোলনে আছে তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে দাবি করে ফখরুল বলেন, আজকে একটা মামলার রায় হয়েছে। যেখানে ১৫ জনকে ৪ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে।
আগামী ১৪ অক্টোবর নয়াপল্টনে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সকল রাজবন্দীর মুক্তির জন্য আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।