হোম খুলনাবাগেরহাট কোরবানি ঘিরে ফকিরহাটে বেড়েছে কর্মকারদের কর্মব্যস্ততা

কোরবানি ঘিরে ফকিরহাটে বেড়েছে কর্মকারদের কর্মব্যস্ততা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 60 ভিউজ

ফকিরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের ফকিরহাটে কোরবানির ঈদকে ঘিরে কর্মকারদের বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এই কর্মকারপাড়া দোকানগুলো সারা দিন টুং-টাং শব্দে মুখরিত। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার হাতিয়ার তৈরি ও মেরামতের কাজ চলছে সেখানে।

ফকিরহাট বাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি কর্মকারের দোকান আছে। কোরবানির ঈদে ছুরি, দা, কুড়াল, চাপাতি তৈরি ও মেরামতের কাজে ব্যস্ত আছেন কর্মকাররা। কেউ গলে যাওয়া লোহা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাতিয়ার তৈরির উপযোগী করছেন। কেউবা পশু জবাই করার ছুরি ধার করছেন। একটি হাতিয়ার তৈরি করতে লোহা অনুযায়ী দাম নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে।

অনেক দোকানে ক্রেতারা বসে আছেন অর্ডার দেওয়া দা ছুরি নেওয়ার জন্য। অনেকে আগাম তৈরি করা হাতিয়ার নিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় কর্মকার নীলপদ কর্মকার, আজয় কর্মকার জানান, পাকা লোহার তৈরি হাতিয়ার ধারালো হওয়ায় এ লোহা থেকে তৈরি দা-বঁটি কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা রাখা হয়। এছাড়া ছুরি, চাপাতি আকার ভেদে ১৫০ থেকে ৬০০ টাকা এবং কুড়াল ওজন হিসেবে প্রতি কেজি ২৭০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুরাতন হাতিয়ার মেরামত ও ধারালো করতে ৭০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কামারদের দাবী, এবছর দাম বাড়েনি। দাম গত বছরের মতোই আছে।

কোরবানির জন্য ছুরি ও চাপাতি কিনতে আসা রবিউল ইসলাম, সেলিম শেখ সহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, দামের বিষয়টি মুখ্য নয়। ধর্মীয় বিধান পালনের জন্য তারা কোরবানি দিচ্ছেন। ভিড় বাড়ার আগে তাই প্রয়োজনিয় হাতিয়ার কিনতে কর্মকার পাড়ায় এসেছেন।

উল্লেখ্য, এবছর ফকিরহাট উপজেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদী পশুর সংখ্যা ৯ হাজার ২০টি এবং চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯১৬ টি পশুর। ফলে চাহিদার চেয়ে পশু উৎপাদন কিছুটা বেশি হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন