হোম খুলনাযশোর কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানের খাদ্য গুদাম ভাঙচুর ও কপি হাউজে অগ্নিসংযোগ

কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানের খাদ্য গুদাম ভাঙচুর ও কপি হাউজে অগ্নিসংযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 9 ভিউজ

স্টাফ রিপোর্টার:

যশোরের কেশবপুরে সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের কলাগাছি বাজারস্থ মায়িশা মৎস্য চাষ প্রকল্পের মাছের খাদ্যের গুদাম গত শনিবার রাতে ভাঙচুর ও একটি কপি হাউজে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

১৫ লাখ টাকার খাদ্য লুট করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। এছাড়া একই রাতে নিরিবিলি ভাসমান কফি হাউজের মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দূর্বৃত্তরা।

জানা গেছে, সুফলাকাটি ইউনিয়নের সারুটিয়া বিলে সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের সাথে মাছের ঘেরের দখল নিয়ে ছিদ্দিক বিশ্বাসের সাথে তার বিরোধ চলে আসছে। গত ১৪ নভেম্বর ভোরে ছিদ্দিক বিশ্বাস তার ঘেরে মাছ ধরতে যায়। এসময় বাধা দেয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিল্লাল হোসেন সহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১০ জন আহত হয়।

আহতদের ভিতর ঘের মালিক সিদ্দিক বিশ্বাস গ্রুপের ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। আহতরা কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপর থেকে গোটা এলাকা জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। বিক্ষুব্ধ জনতা এরই জের ধরে গত ১৬ নভেম্বর রাতে সুফলাকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মৎস্যলীগের সভাপতি এস এম মনজুর রহমানের কলাগাছি
বাজারস্থ মায়িশা মৎস্য চাষ প্রকল্পের মাছের খাদ্য গুদাম ভাঙচুর করে এবং মালামাল তছনছ করে। একই রাতে রাজিব হোসেনের নিরিবিলি ভাসমান কফি হাউজে অগ্নিসংযোগর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সুফলকাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমান বলেন, কলাগাছি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তার মায়িশা মৎস্য চাষ প্রকল্পের খাদ্যের গুদাম কর্মচারী আবুল হোসেনকে মারপিট করে ও ভাঙচুর করে। ১৫০ মাছের খাদ্য লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে তার ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছড়া নিরিবিলি ভাসমান কফি হাউজের মালিক রাজিব আমার সাথে চলে বলে তার কফি হাউজের ফ্রিজসহ মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দূর্বৃত্তরা। ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির সংশ্লিষ্টতার কথা বলতে চাইলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ চেয়ারম্যান ইউনিয়নের বিভিন্ন মাছের ঘেরে মালিকানা দাবি ও হামলার ঘটনায় জড়িত হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে সুফলাকাঠি ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মহিরউদ্দীন বলেন, কেবা কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তিনি জানেন না। এতে বিএনপির কেউ জড়িত নয়। উদ্দেশ্যমুলক ভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন