হোম খুলনাযশোর কেশবপুরে চাকরি দেয়ার নামে ৯ লাখ টাকা আত্মসাত:স্থানীয় শালিস অমান্য, এলাকায় উত্তেজনা

কেশবপুরে চাকরি দেয়ার নামে ৯ লাখ টাকা আত্মসাত:স্থানীয় শালিস অমান্য, এলাকায় উত্তেজনা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 29 ভিউজ

ষ্টাফ রির্পোটার:
যশোরের কেশবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার নামে প্রায় ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান ও আশরাফুল আলম মিঠু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তারা চাকরির জন্য দেয়া টাকা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এরই এক পর্যায়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ছাত্র জনতার আন্দোলনে পতনের পর ভুক্তভোগীরা পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুলের নিকট বিষয়টি জানালে তিনি দু পক্ষকে নিয়ে শালিসীর আয়োজন করেন। দি পক্ষের শুনানি শেষে তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষের দুজন করে মানিত সদস্যের নাম প্রস্তাব করে দেয়ার আহ্বান জানান। সে মোতাবেক মাহমুদুল হাসান ও মিঠু পক্ষ থেকে সাবেক মেম্বর মহির উদ্দিন বিশ্বাস ও শিক্ষক আবুল বাসারের নাম আসে। নজরুল ইসলাম খানের মানিত দুজন সদস্য মনোনীত হন সাংবাদিক জয়দেব চক্রবর্তী ও আবুল কাশেম।

দু পক্ষের মানিত চারজন ও সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল শালিসী বৈঠকে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে সাড়ে ৬ লাখ টাকা নজরুল ইসলাম খানকে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করেন । নজরুল ইসলাম খান শালিসীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ৩ কিস্তিতে টাকা প্রদানের দাবি জানালে তাকে সে সুযোগ প্রদান করেন মানিত বোর্ড। এর পর থেকে তিনি নির্ধারিত তারিখে টাকা প্রূদান না করে একের পর এক নানান অজুহাত দিয়ে চলেছেন যা নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, তিনি শালিসি সিদ্ধান্ত অমান্য করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে চলেছেন, তিনি স্পষ্ট বলেছেন দু জন বিএনপির লোক হওয়ায় তিনি চাকরি দিতে পারেন নি। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দু লাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বলেছেন বলে জানান।

দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরতে দাবি করলেও আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম খান তাদের পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন