হোম খুলনাযশোর কেশবপুরে ঘেরের মাছ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় ঘের মালিক হুমকির মুখে

কেশবপুরে ঘেরের মাছ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় ঘের মালিক হুমকির মুখে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 17 ভিউজ

স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর):

যশোরের কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়নের বুড়ুলিয়া বিলে একটি মাছের ঘেরের মাছ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় ঘটনায় জড়িতদের হুমকির মুখে ঘের মালিক মেজবাউদ্দিন মিল্টন। ঘটনার ১২ দিন পার হলেও আইনগত ব্যবস্থা না হওয়ায় বাদী নিরাপত্তা হীন হয়ে পড়ায় ঘরের মাছ ধরতে পারছেন না বলে অভিযোগ।

গত ১৫ অক্টোবর ঘেরের মালিকানা দাবি করে উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকার মাছ লুটের ঘটনায় অভিযোগ করেছেন কেশবপুর থানায় ও স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে।

জানা গেছে, উপজেলার বুড়ুলিয়া বিলের খৈতলা এলাকায় ১৩০ বিঘা জমির একটি মাছের ঘের রয়েছে। উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের ঘের মালিক মেজবা উদ্দিন বিগত ৬ বছরের জন্য ডিড করে নেন। ডিড শেষ হওয়ার পর গত ২ বছর আবারও ৬ বছরের জন্যে ঘেরটি তাঁর নামে ডিড করে নেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ১৫ অক্টোবর রাতে উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের নেতৃত্বে ফয়সাল মোড়ল, আলমগীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মামুন সরদারসহ একদল দুর্বৃত্ত তাঁর মাছের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে পাহারাদার মিঠু শেখকে মারপিট করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দড়াজাল দিয়ে ৭ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৫ মন বাগদা চিংড়ি, ১০০ মন বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ধরে নৌকা যোগে নিয়ে যায়। এসময় তারা মাছের ঘেরের ৩টি টঙ ঘর, ২টি স্যালো মেশিন, ডিজিটাল মিটার, সৌর প্যানেল, কয়েক ব্যারেল ডিজেল, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় ১৬ অক্টোবর ঘের মালিক মেজবা উদ্দীন বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে বলেন হুমকীর অভিযোগ সঠিক নয়।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন