হোম ফিচার কেশবপুরে গুদামে ধান বিক্রিতে কৃষকের অনীহা, নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বাজার মুল্য বেশি

জয়দেব চক্রবর্ত্তী, কেশবপুর (যশোর) :

যশোরের কেশবপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশী হওয়ায় কৃষকদের খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখা দিয়েছে। ফলে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের উদ্বোধনের এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৪২ মেট্রিকটন ধান সংগৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে। বাজার দর বেশি থাকায় কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছে।

এদিকে চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা খাদ্যগুদামে চাল বিক্রিতে লাভের মুখ না দেখলেও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তারা শেষ মুহূর্তে হলেও গুদামে চাল সরবরাহ করবেন বলে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দাবি করেছে।

স্থানীয় কৃষক ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমন মওসুমে সরকার প্রতিকেজি ধান ২৭ টাকা ও চাল ৪০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে। গুদামে ধান ক্রয়ের সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ধানের বর্তমান বাজার মূল্য বেশী। এ পরিস্থিতিতে গ্রুদামে ধান বিক্রি করে কৃষকদের লাভ থাকবে না। তারপরও সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করায় অনেক ঝামেলা। আদ্রতার কথা বলে প্রতি মন ধানে এক-দুই কেজী করে বেশী দিতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন তালবাহানা করে ধান ফেরত দেয়া হয় বলে কৃষকদের অভিযোগ। কিন্তু বর্তমান স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেশী, ঝামেলাও কম। যে কারণে এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪২ মেট্রিকটন ধান সংগৃহীত হয়েছে।

ডিলার বিষ্ণুপদ দাস বলেন, মোটা চালের বর্তমান বাজার মূল্য ও সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রায় সমান। এরপরও টনপ্রতি ২০০ টাকা বেশী খরচ হয়। লোকসান হলেও আগামী দিনের অপেক্ষায় বাধ্য হয়ে খাদ্য গুদামে ধান দিতে হচ্ছে।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, চলতি আমন মওসুমে ৫৬৯ মেট্রিকটন ধান ও ৬২১ মেট্রিকটন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছরের ১ ডিসেম্বর ধান, চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৪২ মেট্রিকটন ধান ও ৪৬৫ মেট্রিকটন চাল সংগৃহীত হয়েছে। যেহেতু মিল মালিকরা সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ, সেহেতু চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন