মাহমুদুল হাসান শাওন, দেবহাটা:
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কন্ট্রোলরুমে ঢুকে দাখিল পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজি করার সময় দেবহাটায় এনামুল কবির বাবু নামের এক মাদরাসা সুপারকে আটক সহ মোবাইলকোর্টে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত এনামুল কবির বাবু সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি পারুলিয়া আহছানিয়া মাদরাসার সুপার পদে দায়িত্বরত রয়েছেন।
রোববার দেবহাটার সখিপুর আলিম মাদরাসায় নির্ধারিত দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজির সময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। পরে মোবাইল কোর্টে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ১০ ধারায় তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, রোববার সখিপুর আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার নির্ধারিত কক্ষে ঢুকে পারুলিয়া আহছানিয়া মাদরাসার সুপার এনামুল কবির বাবুর বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতার অভিযোগ আগে থেকেই পেয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেজন্য সকাল থেকে প্রায় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।
এতে করে নকলে সহযোগীতা না করতে পেরে বেকায়দায় পড়েছিলেন অভিযুক্ত সুপার। তার গতিবিধি ও আচরণ দেখে বিষয়টি বুঝতে পারলেও, তাকে হাতেনাতে ধরতে চাইছিলেন ইউএনও। পরীক্ষা শেষ হতেই অফিসে যাওয়ার কথা বলে ইউএনও পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
সাথে সাথেই সুপার এনামুল কবির বাবু কন্ট্রোল রুমে ঢুকে তার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের খাতায় কারসাজি অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের দেয়া ভুল উত্তর গুলি কাটাকাটি ও সেখানে নতুন করে উত্তর বসাতে শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ইউএনও খালিদ হোসেন সিদ্দিকী আচমকা কেন্দ্রে ফিরে কন্ট্রোল রুমে ঢুকে পড়েন।
সেসময় ইউএনও’র কাছ হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় আহছানিয়া মাদরাসার সুপার এনামুল কবির বাবু। পরে তাকে মোবাইল কোর্টে অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।