কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গরুচোর সন্দেহে সাগর (৩৫) নামের এক ব্যাক্তিকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখার পর সে ঘরে থাকা বিদ্যুতের তাড় গলায় প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের মোঃ খুর্শেদ ভূঁইয়ার বাড়ীতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার দুপুরে মৃত রইছ উদ্দিন ভূঁইয়ার পুত্র মোঃ অলিউল্লাহ ভূঁইয়ার বাড়ীতে একটি গরু রেখে যায় সাগর। পরদিন ২৬ নভেম্বর সকাল ৭ টার দিকে সাগর গরুটি নিতে আসলে ওই গরু তার নয় বলে সন্দেহ হয় অলিউল্লাহ ভূঁইয়ার মাঝে। পরে অলিউল্লাহ ভূঁইয়া সাগরকে গরু দিতে অসম্মতি জানায় ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসতে বলে। এক সময় জনতা সাগরকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে। সংবাদ পেয়ে উপজেলার আলী আকবরি এলাকা থেকে আছমা (৩৫) নামের এক নারী এসে সাগরের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গরুটি তার বলে দাবি করেন। স্ত্রী দাবিদার আছমার কথাবার্তায় মিল না থাকায় তাকেও গরু নিতে সুনির্দিষ্ট প্রমান দিতে হবে বলে স্থানীয়রা আছমাকে জানিয়ে দেয়।
কয়েকজন সাগরকে খুর্শেদ ভূঁইয়ার ঘরের বারান্দার একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে সন্ধ্যায় কুলিয়ারচর থানার এস.আই মোঃ নয়ন চৌধুরীকে অবহিত করে। বিষয়টি জানার পর এস.আই মোঃ নয়ন চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাগর ওই ঘরের ভিতরে থাকা পরিত্যক্ত বিদ্যুতের তাড় গলায় প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। সংবাদ পেয়ে এস.আই মোঃ নয়ন চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম সুলতান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যাক্তির ঠিকানা পাওয়া না গেলেও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মাধ্যমে মৃতের এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। কার্ডের ঠিকানা অনুযায়ী তার বাড়ী কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় বলে জানা গেছে।
