হোম অন্যান্যসারাদেশ কুলিয়ারচরে অটোরিক্সা ছিনতাই কারীদের সনাক্ত। হাকিম হত্যার রহস্য উদঘাটন

কুলিয়ারচরে অটোরিক্সা ছিনতাই কারীদের সনাক্ত। হাকিম হত্যার রহস্য উদঘাটন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 134 ভিউজ
 কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কুলিয়ারচরে অটোরিক্সা ছিনতাই কারীদের সনাক্ত ও হাকিম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত ১৮ সেপ্টেস্বর নিজ বাড়ী থেকে ব্যাটারী চালিত বিভাটেক নিয়ে ডুমরাকান্দা বাজারের উদ্দেশ্যে বাহির হওয়া হাকিম মিয়া বাড়ীতে ফিরে না আসায় ডুমরাকান্দা বাজারের আশ-পাশ সহ অন্যান্য স্থানে খোঁজা খুজি করে তার বাবা ও আত্নীয় স্বজন। সন্ধান না পেয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর কুলিয়ারচর থানায় একটি জিডি করা হয়। গত ১ অক্টোবর ভিটিগাঁও সাকিনস্থ জনৈক মোঃ ইলিয়াছ মিয়ার ফসলী জমির পানিতে কচুরিপানার উপর ভাঁসমান অবস্থায় একটি অর্ধগলিত মৃত দেহ স্থানীয় জনগন দেখতে পায়। পরে বাদী মৃত দেহের পরিহিত লুঙ্গি ও গেঞ্জির ছেঁড়া টুকরা দেখে তার ছেলে হাকিম মিয়া (১৬) এর লাশ বলে সনাক্ত করেন। অজ্ঞাত আসামীরা ভিকটিম হাকিমকে হত্যা করে তার ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও  ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় ৮ অক্টোবর একটি মামলা করা হয়।
ভিকটিম হাকিম মিয়া (১৬) এর অর্ধগলিত লাশ পাওয়ার পর পিবিআই কিশোরগঞ্জ জেলার ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উক্ত হত্যার বিষয়ে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে ৯ অক্টোবর পিবিআই কিশোরগঞ্জ মামলাটি স্ব-উদ্যোগে গ্রহন করে এসআই (নিঃ), মোঃ গোলাম হোসেনকে অর্পন করে। এসআই (নিঃ), মোঃ গোলাম হোসেন মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করে ভিকটিম এর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ৯ অক্টোবর ভৈরবের মধ্যেরচর আলগাবাড়ীর কাজল মিয়া (২২), পিতা-মোঃ ইরু মিয়া ও একই উপজেলার মিরারচর উত্তরপাড়া বাবুল (২২), পিতা-মোঃ বিল্লালকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গত ১০ তারিখ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামী ১। মনির (২৭), পিতা- সৈকত আলী, সাং- কালিকা প্রসাদ, থানা- ভৈরব, ২। মোঃ ফুল মিয়া (৩৯), পিতা মৃত-খলিল মিয়া, সাং- চন্ডিবের মধ্যপাড়া, থানা- ভৈরব, ৩। মোস্তফা ওরফে মস্তো (১৯), পিতা- ছফর উদ্দিন, সাং- মধ্য লালপুর, থানা- কুলিয়ারচর, সর্বজেলা কিশোরগঞ্জকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামীদের হেফাজত হতে ভিকটিম হাকিম মিয়ার মোবাইল ফোন ও অটোরিক্সা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় যে, আসামী কাজল, বাবুল, মোস্তুফা ও মনির সম বয়সী ও পরস্পরে সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক। উক্ত আসামীগনের একটি সংঘবদ্ধ অটোরিক্সা বিভাটেক চুরি/ ছিনতাইয়ের সিন্ডিকেট রয়েছে এবং উক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা র্দীঘদিন থেকে অটোরিক্সা বিভাটেক চুরি/ ছিনতাই করে আসছে। আসামী মোঃ ফুল মিয়া চুরিকৃত অটোরিক্সা বিভাটেক চোরাই জানা সত্তেও সিন্ডিকেটের সদস্য থেকে টাকার বিনিময়ে স্বল্প দামে ক্রয় করে। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৭ টায় ঘটনাস্থল ভিটিগাঁও সাকিনে ফাঁকা জায়গায় পৌছলে আসামীগন ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ভিকটিমকে অটো থামাতে বাধ্য করে রাস্তার বাম পাশে নিচে নামিয়ে  এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি মেরে ও আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন