শিপলু জামান , কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
আলমগীর কবির পেশায় একজন কৃষক। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের আড়ুয়া শলুয়া গ্রামের মুজিদ মন্ডলের ছেলে।গ্রামের মাঠেই তাদের রয়েছে ২০ বিঘা জমি। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে সমুদয় জমি চাষাবাদ করছেন। এবার বেশ কয়েক বিঘা জমিতে তিনি আউশ ধানের আবাদ করেছেন। মাঠে তার লাগানো ধানের শীষে সোনালী বর্নের ছোয়া লাগতে দেখে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কিভাবে পাকা ধান কেটে বাড়ি তুলবেন এই চিন্তা যেন তার পিছু ছাড়ছে না। বছরের পর বছর মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে সোনার ফসল ফলিয়ে সেই ফসল ঠিকমতো ঘরে তোলা নিয়ে আলমগীরকে পড়তে হয় বিপদে ।
এই চিত্র শুধু আলমগীরের একার নয় চাপরাইল, নগর চাপরাইলসহ ৩ গ্রামের মানুষের । কেননা, এই তিন গ্রামের মানুষের মাঠের ফসল ওঠার একমাত্র রাস্থা হলো আড়–য়া শলুয়া গ্রামের রমজান আলীর বাড়ি থেকে মাঠ অভিমুখে খাল পর্যন্ত। আর এই রাস্থার ১ কিলোমিটার অধিক ছোটো বড় একাধিক খানা খন্দে এবং কাদায় অত্যন্ত বেহাল অবস্থা বিরাজমান থাকাই কোন ধরনের কৃষি পণ্যের গাড়ি তো দূরের কথা মানুষও পায়ে হেঁটে ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না।
আড়ুয়া শলুয়া গ্রামের কৃষক ও কৃষাণী রমজান আলী ও আলেয়া বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাঠের ফসল ঘরে তোলার জন্য এই রাস্থাটির গুরত্ব অনেক ।
নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বাবলুর রহমান বলেন, এই রাস্থাটিতে এত বেশি কাদা যে এবার কৃষকদের পাট উঠাতে ট্রাকটার ব্যবহার করতে হয়েছে। আমার মনে হয় কালীগঞ্জে এমন বেহাল রাস্থা আর একটিও নেই। আমি রাস্থাটি করে দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে বারবার অবগত করেছি।