হোম খুলনাসাতক্ষীরা কালীগঞ্জে আদালতের নির্দেশে গান্ধুলিয়া দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :

সভাপতির নানান অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার মামলায় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গান্ধুলিয়া দারুন উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৪টি পদে ৬০ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য এর কার্যক্রম আদালত কর্তৃক স্থগিত হয়ে গেছে। সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচার তরিকুল ইসলাম গত ৫ নভেম্বর দীর্ঘ শুনানি শেষে কারণ দর্শানোর নির্দেশসহ ১০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

যে কারণে গত ১০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টার পাতানো নিয়োগ বাণিজ্য কার্যক্রম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এক চিঠি তে বন্ধ হয়ে যায়। গান্ধুলিয়া দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে প্রাক্তন সভাপতি এবং দাতা সদস্য গং দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন এবং বিরোধ কে কেন্দ্র করে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন প্রভাব খাটিয়ে নিজের জামাতা গান্ধুলিয়া গ্রামের আব্দুল হাই কে সভাপতি নির্বাচিত হয়। তার জামাতা সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সুপার, সহকারী সুপার, পরিচ্ছন্ন কর্মী, নৈশপ্রহরী এই ৪টি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে এই ৪টি পদে প্রায় ৫৭ টি আবেদন প্রার্থীরা দাখিল করে।

এরমধ্যে নিজেদের পছন্দের ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অত্র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আব্দুর রহমান এবং সভাপতি আব্দুল হাই তার শশুরের সহযোগিতায় ৪ জনের নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকার চুক্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন করার পাঁয়তারা চালায়। নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে মাদ্রাসা বোর্ডের মহাপরিচালকের প্রতিনিধিকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে পাতানো নির্বাচন সফল করতে তড়িঘড়ি করে ১০ নভেম্বর সকাল ১০ টায় পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করে।বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে অত্র মাদ্রাসার প্রাক্তন সভাপতি টি এস আব্দুস সাত্তারের দায়ের করা আদালতের দেওয়ানী ২৯৯/ ২০২৩ নং মামলায় গত ৫ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত এ্ আদেশের মাধ্যমে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এক পক্ষ খুশি হলেও ঘুষের টাকা প্রদানকারীদের মধ্যে গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। এই নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন