হোম অন্যান্যসারাদেশ কালিগঞ্জের নলতা খানজিয়ায় বালু উত্তোলন কে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

কালিগঞ্জের নলতা খানজিয়ায় বালু উত্তোলন কে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

কর্তৃক
০ মন্তব্য 135 ভিউজ
জাহাঙ্গীর আলম ,কালিগঞ্জ:
 সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নলতা ইউনিয়নের খানজিয়া সীমান্ত নদী ইছামতিতে বালু উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৬ জুলাই রবিবার সকাল ১১ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বালু ব্যবসায়ীদের পক্ষে  লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতবসু গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীন গাজীর ছেলে মানিক গাজী (৬৫)। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি এবং আমরা কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ইজারা নিয়ে সরকারি বিধি মেনে খানজিয়া সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি। সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য আমাদের নিকট থেকে বালু ক্রয় করে। এখনও তার নিকট আমার পাওনা ১৮৩০০ টাকা এবং অপর বালু ব্যবসায়ী জয়দেব দাস ২১৬০০ টাকা, ইসমাইল ও রাশিদুল ইসলাম ১৬৫০ টাকা যা সর্বসাকুল্যে ৪১ হাজার ৬৫০ টাকা পাওনা রয়েছে। এই বকেয়া টাকা আমরা চাইতে গেলে তিনি  টালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার নিজস্ব কিছু লোকজন দিয়ে আমার ও অন্য কয়েকজন বালু ব্যবসায়ীর  উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মিথ্যা হয়রানিমুলক অভিযোগ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলন করলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ও তার অপরাপর স্বার্থান্বেষী সহযোগীরা পরস্পর একত্রিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। নদীর বেড়ীবাধের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে বসবাসকারী ফজর আলী গাজীর ছেলে বাবু (৩৩), সাবু (৩০), মাহবুব শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩২), আহম্মদ আলী গাজীর ছেলে আকরাম হোসেন (৩৫) ও আনোয়ার হোসেন (৩৭), নওশের আলী গাজীর ছেলে ইছা (২৫) ও খায়রুল (২২) সহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি নানা প্রকার অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছে। এমনকি পাউবো’র গেটখালাসী ঘরও তারা দখলে রেখে স্থানীয় বাসিন্দা ও বালু ব্যবসায়ীদের সাথে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ও বেড়ীবাধে সাধারণ মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এছাড়া তারা বাইরচরের মাটি কেটে নিয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি তৈরীর কাজে ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিসাধন করে চলেছে। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তারা এলাকাবাসীর সাথে মারমূখী আচরণ করায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন  জয়দেব দাশ (৪৮), রাশিদুল ইসলাম (৪৫), মাওলা  ইসমাইল গাজী (৪২), মোকছেদ গাজী (৫৩), আব্দুল হালিম (৩২) প্রমুখ।ভুক্তভোগীরা ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান এবং নদীর চর ও বেড়ীবাধ দখল করে অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিদের অব্যাহত হয়রানি ও চক্রান্ত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে  প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন