কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রতনপুর তারকনাথ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম এবং সভাপতি ও রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিম আল রাজি টোকনের বিরুদ্ধে। এলাকার জনগণের চোখ ফাঁকি দিতে স্কুলের ভেন্যু পরিবর্তন করে বিধি বহির্ভূতভাবে গত( ৪ নভেম্বর) বেলা ১১ টার সময় সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যর পরীক্ষা গোপনীয়ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়।
অভিযোগকারীরা উচছে পাড়া গ্রামের অভিভাবক সদস্য আশরাফ, সিরাজুল ইসলাম গনেশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজী, গান্দুলিয়া গ্রামের আবু জাফর তরফদার, নৈহাটি গ্রামের মান্নান সরদার, রতনপুর গ্রামের চিত্ত সরদার সহ নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রাক্তন সভাপতি, প্রাক্তন সভাপতি প্রার্থী, দাতা সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান অত্র বিদ্যালয় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে গত ২৬/৭/২৩ ই; তারিখে নিয়োগের জন্য দৈনিক দৃষ্টিপাত এবং এবং মানবজমিন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই প্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ উপজেলার আব্দুল খালি গ্রামের আতিয়ারের রহমানের পুত্র আলমগীর হোসেন, আড়ংগাছা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র আয়তুল্লা, বন্দিপুর গ্রামের আজগর আলীর কন্যা খাদিজা খাতুন, এবং দূলাবালা গ্রামের স্বপন সরকারের কন্যা প্রিয়াঙ্কা সরকার আবেদন করেন। এর মধ্যে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের জোগসাজোগে ১৫ লক্ষ টাকা চুক্তিতে আড়ংগাছা গ্রামের আয়তুল্লাকে নির্বাচিত করে বাকি ৩ জন ডামি প্রার্থীকে আবেদন করিয়ে কোরাম পুরা করেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকায় চাপা ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এই নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা হলেন সাতক্ষীরার সরকারি বালক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আমিনুর ইসলাম টুকু(,ডিজি প্রতিনিধি) কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিম আল রাজি টোকন,প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম এবং অভিভাবক সদস্য জাকির হোসেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে এলাকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে গোপনে ডিজি প্রতিনিধি সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক কে অসুস্থতার অজুহাতে ভেন্যু হিসাবে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ভেন্যু করা হয় এবং সেখানেই শনিবার নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করতে পরীক্ষা গোপনে সম্পন্ন করলেও এলাকার কেউ কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকশফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন তবে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি সম্পর্কে কোন সদউত্তর দিতে পারেনি। এ বিষয়ে আরো জানার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন নাপ্রধান শিক্ষকের নিকট জানার জন্য বলেন। অত্র স্কুলের সভাপতি রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিম আল রাজি ওরফে টোকনের নিকট একাধিকবার ফোন দিলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বিধি মোতাবেক কেন্দ্র পরিবর্তন হইলে বা আইন শৃঙ্খলার কোন ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা থাকলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ভেনু পরিবর্তনের সুযোগ থাকে কিন্তু সেটা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এই অবৈধ নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।