সংকল্প ডেস্ক :
আশাশুনির শোভনালীতে এক বিশাল মিছিল ও ভূমিহীন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় কামালকাটি বাজারে সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভূমিহীন নেতা মো. আব্দুস ছাত্তার গাজী। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক মো. আব্দুস সাত্তার।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরার প্রাণ নদী ও খাল। ওই নদী ও খালগুলোর দুইধারে হাজার হাজার বিঘা সরকারি খাস জমি রয়েছে। যার অধিকাংশ প্রভাবশালীদের দখলে। এরমধ্যে কিছু কিছু নদী ও খালের ধারে হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা কোনো রকমে ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী নিবাস বানিয়ে বসবাস করার চেষ্টা করছে। অথচ বিগত কয়েক বছরপূর্বে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা তাদের অস্থায়ী ঘরগুলো উচ্ছেদ করে দিয়েছিল। অথচ প্রায় এক বছরের অধিক সময় পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু ওই হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের কপালে সেই বরাদ্দকৃত ঘর জোটেনি। বরং জেলা প্রশাসন উপরিউক্ত ঘটনার কোনো তদন্তও করেনি। যার ফলে জেলায় যে সকল পরিবারের সদস্যদের আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ দিয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ উক্ত ঘরগুলো পাওয়ার যোগ্য নয়। যা অত্যান্ত বেদনাময়। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখন গৃহহীন পরিবার রয়েছে। অথচ সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন কয়েকটি উপজেলাকে ভূমিহীন মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে। যা করা অনুচিত। সেজন্য এখনই জেলা প্রশাসনের উক্ত ঘটনাগুলো বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঘরগুলো বন্টন করা। আর সেটি করতে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভাবপর হবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলার হাজার হাজার সহায়-সম্বলহীন ভূমিহীন পরিবার মানবেতরভাবে দিনযাপন করেন। তাদের কারোই বাস্তুভিটা বা থাকার জায়গা নেই। এমনকি ঘরে খাবারও নেই। সরকারি খাসজমি প্রভাবশালীদের দখলে যা আছে তা উদ্ধার করে সেই সব ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি আজাদ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম, সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক গ্রাম্য ডা. গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ।