কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
কলারোয়ায় দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের লাঙ্গলঝাড়া বাজারের পাশে পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ হলো মা মাহফুজা খাতুন (৩২) এবং তার শিশু পুত্র মাহফুজ (১০) ও শিশু কণ্যা মোহনা (৬ বছর)। মাহফুজা ওই গ্রামের ট্রাক্টর চালক শিমুল(৩৮) হোসেনের স্ত্রী।
শিমুল বাড়িতে ছিলেন না, কর্মসূত্রে তিনি ছিলেন বাগেরহাট। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, ‘নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে।’ খবর পেয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শামসুল আলম শামস সহ উর্দ্ধতন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার(১ এপ্রিল) ‘সকালে দীর্ঘক্ষন ঘুম থেকে ্ওই পরিবারের সদস্যরা না উঠায় ঢাকতে থাকে এবং পরবর্তীতে জানালা দিয়ে ঘরের ভিতর দেখতে পাই আড়ায় গৃহবধুর মৃতদেহ ঝুলছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিবভাবে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। তবে এটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যা সেটা বলতে পারেনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মৃত মাহফুজার বড় ভাই বসন্তপুর গ্রামের মশিয়ার বলেন, ‘শবে বরাতের দিন তার ভাগ্নে মোহনাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে পার্শ্ববর্তী এক ছেলে। বিষয়টি মেম্বরকে জানালে কোন সুরহা না করে বলেন, সামনে ভোট, ভোটের পর দেখবো।
সম্ভবত মানসম্মান আর অন্যের কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে ছেলে, মেয়েকে মেরে মা আড়ায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে এলাকাবাসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিশু কন্যার যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মানতে না পেরে ছেলে-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর রশিতে ঝুলে সম্মানি ও অভিমানি মা মাহফুজা খাতুন (৩২) আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এ ঘটনা জানার পর মৃতের পরিবারসহ এলাকার মানুষের মাঝে আর্তনাদ ও আহাজারি বিরাজ করছে।