কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সারাদেশে ২৫ এপ্রিল থেকে করোনা মহামারীর মধ্যেও সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয়েছে মার্কেট ও শপিং মল গুলো। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খুলে দেওয়া শপিং মল সহ সপ্তাহিক বৌ- বাজারেও ক্রেতার দেখা নেই কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ডুমরাকান্দায়। বিক্রেতার উপস্থিতি চোখে পরার মত হলেও ক্রেতার দেখা নেই এই বাজারে। লোকজন মনে করছে, করোনা মাহামারীর মাঝে মানুষের জীবন ও জীবিকা থমকে আছে। যেখানে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম বিত্তদের দু’ বেলা দু’ মুঠো খেয়ে- পরে বাঁচাটাই কষ্টসাধ্য সেখানে মানুষ কাপড় কিনবে কি দিয়ে?
কেউবা আবার বলছে, ধান কাটা নিয়ে মানুষ এখন ব্যস্ত। ধান কাটা শেষ হলে আবার ক্রেতার দেখা মিলবে বৌ বাজারে। হাসিব নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, করোনায় আমাদের জীবন ও জীবিকায় ধস নেমেছে। মালামাল নিয়ে বাজারে বসে থাকি কিন্তু ক্রেতার দেখা নাই। এক সময়ের কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, আতিকুর রহমান বলেন, করোনায় কেজি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন ৩ মাস ধরে মহিলা ও শিশুদের কাপড়ের ব্যবসা করে আসছি হাটে হাটে। বাজারে ক্রেতা নেই, গাড়ি ভাড়ার টাকাটাও ওঠে আসবে কি না সন্দেহে আছি।