বাণিজ্য ডেস্ক:
কমপ্লায়েন্সের নামে তৈরি পোশাক খাতে একের পর এক শর্ত দিচ্ছে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো, যা মানতে গিয়ে খরচের বোঝা চাপছে মালিকদের ঘাড়ে। অথচ শত অনুরোধেও পোশাকের দাম বাড়াচ্ছে না এক সেন্টও। বিদেশি ক্রেতাদের এমন দ্বিমুখী আচরণে ক্ষুব্ধ পোশাক মালিকরা।
রোববার (১১ জুন) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও জার্মান অ্যাম্বাসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান উদ্যোক্তারা।
দামে ও মানে ভালো হওয়ায় বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানই যার বড় প্রমাণ। ইইউর পরিসংখ্যান বিভাগ ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, ইউরোপে সস্তায় পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতি কেজি পোশাক বিক্রি হচ্ছে ১৭ দশমিক ২৭ ডলারে। যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম বিক্রি করছে ৩০ দশমিক ৭৬ ডলারে, যা বাংলাদেশের চেয়ে ৭৮ শতাংশ বেশি।
তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে কারখানাগুলো। পাশাপাশি কাঁচামালের দাম বাড়ায় কমেছে উৎপাদন। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে কমপ্লায়েন্সের নামে ক্রেতাদের নানা শর্ত। এতে আরও বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। অথচ পোশাকের দাম বাড়াতে মালিকদের আলোচনা, শত অনুরোধ আমলে নিচ্ছে না বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো।
এ অবস্থায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ব্র্যান্ডগুলোকে আবারও পোশাকের দাম বাড়ানোর আহ্বান উদ্যোক্তাদের। এ ছাড়া বিকেএমইএ-র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, কমপ্লায়েন্সের শর্ত মেনে ও গুণগতমান বজায় রেখে সস্তায় পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
আর ব্যবসা টিকিয়ে পোশাক মালিকরা সময়মতো কমপ্লায়েন্সের শর্ত বাস্তবায়ন করছে বলে জানান বিজিএমইএ-র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম।
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানিকারক দেশ হিসেবে কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত ইস্যু দেশের বাণিজ্যে কোনো বাধা হবে না।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে দেশে সাড়ে ৪২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে, যা মোট পণ্য রফতানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি।