হোম আন্তর্জাতিক ওয়াগনারসহ সব ভাড়াটে বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ চান পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ওয়াগনার বাহিনীসহ সব ভাড়াটে বাহিনীর ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ চান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর পর এরইমধ্যে সব ভাড়াটে বাহিনীকে রুশ রাষ্ট্রের প্রতি ‘আনুগত্যের শপথ’ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত বুধবার (২৩ আগস্ট) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে এক বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তিন পাইলটসহ ১০ জন নিহত হন। যাত্রীতালিকায় প্রিগোজিনের নামও ছিল বলে জানায় রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো। তার মৃত্যুর পর ওয়াগনার বাহিনী এখন কার্যত নেতৃত্বশূন্য।

পিগোজিনের মৃ্ত্যুতে পুতিনের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ গত জুনে তার সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন প্রিগোজিন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। ওই ঘটনায় তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ অভিহিত করেন পুতিন।

তার প্রতিশোধ নিতেই পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। যাদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।

বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, ওয়াগনারপ্রধানের মৃত্যুর দুইদিন পর শুক্রবার (২৫ আগস্ট) একটি ডিক্রি জারি করেন পুতিন। যা তৎক্ষণাৎ কার্যকর হয়েছে। এই ডিক্রির মাধ্যমেই ওয়াগনার বাহিনীসহ অন্যান্য ভাড়াটে সৈনিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে আনুগত্যের শপথ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ক্রেমলিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুতিনের ওই ডিক্রিতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ যারা সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করছেন অথবা সহায়তা করছেন, ডিক্রিটি তাদের ওপরও প্রযোজ্য হবে।

এর মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভাড়াটে বাহিনীগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যেমনটা বলছেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েইট ফেলো নাতিয়া সেসকুরিয়া।

তিনি বলেন, ‘ওয়াগনার বাহিনীর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ চান পুতিন। কারণ ভাড়াটে বাহিনীর কারণে ভবিষ্যতে যেন কোনো সংকটের মুখে পড়তে না হয়, এর মধ্যদিয়ে তিনি সেটাই নিশ্চিত হতে চাচ্ছেন।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন