অনলাইন ডেস্ক:
ওএমএস (খোলা বাজারে বিক্রয়) দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এগুলোতে এত ভর্তুকি দেওয়া হয়, ভালো লোকও লাইনে দাঁড়ায়। তাই ওএমএস বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তা কিছুদিন পরে জানা যাবে। আগামী বাজেটে মূল করের বিষয়গুলো ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় কৃষি পণ্যের বিশেষ ওএমএস (খোলা বাজারে বিক্রয়) বন্ধ করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস চালু করা হয়। আপাতত এটা বন্ধ করা হয়েছে। যদি আবার জরুরি হয়, তখন বিকল্প দেখা যাবে।
মানুষ এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করা হলো। আপনাদের বিকল্প কোনও পরিকল্পনা আছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপাতত এটা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখি, যদি অব্যাহতভাবে চলে তখন হয়তো অল্টারনেটিভ আবার শুরু করতে পারি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখনও সাপ্লাই চেইন ব্রোকারের হাতে। চাল মোকামে থাকে, মোকাম থেকে আনে না। ওগুলো তো ঠিক সাপ্লাইয়ের স্বল্পতা না। সাপ্লাই চেইন যারা মেনুপুলেট করছে খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা, সেটা একটা ইস্যু। চালের দাম তো কিছুদিন আগে কিছুটা কমেছে। অন্যগুলো মোটামুটি সহনীয় আছে।
ভ্যাট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কী পরিপ্রেক্ষিতে আমরা করেছি, সেটা কিছুদিন পর আপনারা জানতে পারবেন। আর বাজেটের সময় আমি বলেছি, এখন ভ্যাটের ব্যাপারটা দেখি। বাজেটে মেইন ট্যাক্সের বিষয় যেগুলো থাকবে সেখানে আমরা আরও ভালোভাবে সমন্বয় করবো।
বৈঠকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সারের মজুত যদি সরকারের না থাকে, তখন বেসরকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সার কেনার বিষয়ে আমরা আজ অনুমোদন দিয়েছি। আর পল্লী বিদ্যুতের কিছু বিষয় ছিল, অনুমোদন দিয়েছি।