আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিবিসি, আলজাজিরার পর এবার মিয়ানমারে বেসমারিক নাগরিকদের ওপর সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস- এপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চীন রাজ্যের থান্টলাং শহরে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। ৪০ জন প্রত্যক্ষদর্শী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, স্যাটেলাইটের ধারণকৃত ফুটেজ ও মৃতের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করেেএই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে এপি।
গেল অক্টোবর ও ডিসেম্বরে ড্রোন ফুটেজে ধারণ করা হয়েছিল মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ‘থান্টলাং’ শহরের অগ্নিচিত্র। সেসময় পুড়েছিল ঘরবাড়ি, স্কুল, কলেজ, গির্জাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণের পর সেনাবাহিনী দেশটিতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন ও গণহত্যা চালাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। এর আগে মিয়ানমারে গণহত্যার বিষয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি।
৪০ জন প্রত্যক্ষদর্শী, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ধ্বংসযজ্ঞের বিভিন্ন ছবি, স্যাটেলাইট ও ড্রোন ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অনুসন্ধানটি চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে আরও বলা হয়, সবচেয়ে বেশি নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে থান্টলাং শহরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা বেসমারিক নাগরিকদের পাশাপাশি জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপরও গণহত্যা চালায়, সহিংসতা চালায় পুরো গ্রামে। এপির ধারণ করা স্যাটেলাইট ফুটেজেও একই চিত্র দেখা যায়। গেল সেপ্টেম্বরে শহরটির অন্তত ৫৮০ টি ভবন আগুনে পুড়িয়ে দেয় সেনাবাহিনী। সহিংসতা থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন সেখানকার বাসিন্দারা।
এর আগে, গেল জুলাইয়ে অন্তত ৪৩ জনকে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে রাখে মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা। ওই ঘটনায় নির্যাতন ও বিকৃত লাশেরও বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও এপির হাতে এসেছে বলে বার্তা সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সেনাবাহিনীর চালানো এসব নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।