আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে ইসরায়েল মূলত সেখানে দখলদারিত্ব কায়েম করতে চায় বলেই মনে করছিলেন বিশ্লেষকরা। তবে এবার নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষে গাজা ‘দখল বা শাসন’ করার ইচ্ছা তার দেশের নেই। খবর আলজাজিরার।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা গাজা শাসন করতে চাই না। আমরা এটি দখল করতে চাই না। তবে আমরা গাজা ও ইসরায়েলকে একটি ভালো ভবিষ্যৎ দিতে চাই। এ জন্য হামাসকে পরাজিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে। এই লক্ষ্য কবে পূরণ হবে, আমি ঠিক করে বলতে পারছি না। এ জন্য আরও সময় লাগতে পারে।
যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকা কারা শাসন করবে, সে বিষয়েও কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজা শাসন করতে ইসরায়েলকে একটি বেসামরিক সরকার খুঁজে বের করতে হবে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শেষে মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে গাজার শাসন ক্ষমতা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।
গত সোমবার মার্কিন টেলিভিশন এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেবে ইসরায়েল। তিনি বলেন, ইসরায়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে না থাকলে কী হয়, সেটা আমরা দেখলাম।
নেতানিয়াহুর এমন কথার পরই বেঁকে বসে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক দখলকে সমর্থন করেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এটা সঠিক কাজ হবে না।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসনব্যবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে সুস্থ আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে আমরা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একমত যে সেখানে ৬ অক্টোবরের মতো শাসন কাঠামো থাকবে না। এর মানে হলো যুদ্ধ শেষে হামাসকে গাজার ক্ষমতায় দেখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। যদিও এই সংগঠনটিই ২০০৭ সালের পর থেকে গাজা শাসন করে আসছে।
এর আগেও গাজা দখল করার ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিলেন বাইডেন। গত মাসে তিনি বলেছিলেন, গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলে সেটি ইসরায়েলের জন্য ‘বড় ভুল’ হবে।