নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের রাঙামাটি পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে তারা এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
জানা গেছে, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর রাঙামাটি আগমনের কারণে জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার সময় কাঁঠালতলী মোড়ে পুলিশ আটকে দেয়। সেখানে সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। তারা এনসিপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
অন্যদিকে শহরের বনরূপায় এনসিপির সমাবেশ শুরু আগেই শহরের সব যানবাহন বন্ধ করা হয়। এ সময় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে গাড়ি চলাচল করা করায় ভোগান্তিতে পড়ে। শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকায় পুলিশ তাদের দ্রুত সমাবেশ স্থল থেকে সরিয়ে দেয়।
জানা গেছে, দুপুর ১টায় রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমি থেকে এনসিপির পদযাত্রা শুরু হয়ে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেই সমাবেশ করেন এনসিপির নেতারা। দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শেষে দ্রুতই সভাস্থল ত্যাগ করেন এনসিপির নেতারা।
অন্যদিকে, এনসিপির সভা শেষ হওয়ার পর ৬০/৭০ জন জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসেন। তারা বনরূপা ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে চলে যান।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এভাবে সমাবেশর জন্য সড়ক বন্ধ করে রাখার কারো অধিকার নেই। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারছে না। এই যে সমাবেশ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মদত ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তারা এই সমাবেশ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীনকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরের প্রতিটি মোড়ে বাড়তি পুলিশ বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদ হোসেন বলেন, আজকের এনসিপি পদযাত্রাটিতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এবং শেষ পর্যন্ত সুন্দরভাবে শেষ হয়। সভার কারণে আমরা বনরূপা সড়কটি বন্ধ রেখে দোয়েল চত্বর দিয়ে আসামবস্তি সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করি। একই সময় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশ ও এনসিপি নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এনসিপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারি, রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তংচঙ্গ্যাসহ নাগরিক পার্টি বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।