হোম রাজনীতি এত আলেম, মসজিদ-মাদরাসা থাকতে দেশে অন্যায়-দুর্নীতি কেন: মির্জা ফখরুল

এত আলেম, মসজিদ-মাদরাসা থাকতে দেশে অন্যায়-দুর্নীতি কেন: মির্জা ফখরুল

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 37 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে অগণিত মুসলমান, মাদরাসা, মসজিদ, ইমাম-উলামা থাকা সত্ত্বেও কেন এত অন্যায়, দুর্নীতি, চুরি ও অর্থপাচার হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একটা মসজিদ তৈরি করতে মানুষ যে আগ্রহ দেখায়, সেই আগ্রহ ভালো মানুষ তৈরিতে কোথায় হারিয়ে যায়, বুঝি না।’

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষার কেয়ারটেকারদের আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, ধর্ম ও নৈতিকতা সমাজে কীভাবে প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে দেশে আরও গভীর আলোচনা ও কার্যকর উদ্যোগ জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি ইন্দোনেশিয়ার উদাহরণ তুলে বলেন, ‘সেখানে সরকার যেই হোক—কমিউনিস্ট বা ইসলামী—গণতান্ত্রিক অ্যাসোসিয়েশন অব উলামা নামের শক্তিশালী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয় না।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ধরনের শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই।

বিএনপিকে ‘উদারপন্থী গণতান্ত্রিক দল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে কোনো শ্রেণি বা ধর্মের অধিকারই প্রতিষ্ঠিত হয় না। তার অভিযোগ, গত ১৫–১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে মানুষের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে ধর্ম পালনের অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

সমালোচনার সুরে তিনি আরও বলেন, কিছু আলেম–ওলামা শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়েছেন—যা বহু প্রশ্নের জন্ম দেয়। তার দাবি, আওয়ামী লীগের দলীয়করণে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইসলামী ফাউন্ডেশনকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠন করা হবে এবং রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিন সংবাদপত্র খুললেই অসংখ্য অপকর্মের খবর চোখে পড়ে। কিন্তু নৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে দেশে হত্যা, রাহাজানি ও অপরাধ অনেকটাই কমে আসত। নৈতিকতার উৎস মাদরাসা, স্কুল, শিক্ষক ও পরিবার—এসব প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করাই হওয়া উচিত অগ্রাধিকার।

তিনি সভায় আহ্বান জানান, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। তার মতে, এমন নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক সরকার ও গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট গঠন সম্ভব হবে, যেখানে জাতীয় সমস্যাগুলো উত্থাপন ও সমাধান করা যাবে এবং তা-ই হবে জনগণের প্রকৃত সিদ্ধান্ত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন