অনলাইন ডেস্ক:
রেলের দুই প্রকল্পসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সোমবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১০ প্রকল্পের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে- চিলমারী এলাকায় (রমনা,জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারি এবং নয়াহাট) নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প; আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প; কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প; অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন, পুন:বাগান সৃজন ও রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়ন প্রকল্প; ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেস প্ল্যান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন প্রকল্প; রশিদপুর-১১ নং কূপ খনন প্রকল্প; ২ডি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ এন্ড ৯ প্রকল্প; মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার প্রকল্প; বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প।
এছাড়া বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টার অনুমোদন দেওয়া ৬টি প্রকল্প একনেকে অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
সেগুলো হচ্ছে- মাদানী এভিনিউ হতে বালু নদী পর্যন্ত প্রশস্তকরণ এবং বালু নদী হতে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প; রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প; নির্বাচিত ফসলের নন-হিউম্যান কনজাম্পশন এবং ফসলের ক্ষতি ও অপচয় নিরূপন জরিপ প্রকল্প; অনাবাদী পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প; বাংলাদেশের প্রাণিকূলের রেড লিস্ট হালনাগাদকরণ প্রকল্প এবং চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিআইডিপি-৪) প্রকল্প।
সভাশেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, একনেক সভায় প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধান, উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের তিন প্রকল্পসহ ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে আজকের বৈঠকে বাতিল করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বন্যপ্রাণীদের চলাচল এবং জীবনযাপনে বিরূপ প্রভাব পড়তো। এমন একটি প্রকল্প কীভাবে নেয়া হলো তা আশ্চর্যের ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস খাতকে অবহেলায় ফেলে রেখে এলএনজি আমদানিতে নজর দেওয়া হয়েছে। বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের পরিবর্তে দুর্বল রাখা হয়েছে। তবে গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলনের ক্ষেত্রে সব নিয়মকানুন অনুসরণ করা হবে। আইনের বাইরে কোনোকিছুই করা হবে না।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসছে না। এটা কমিয়ে আনতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়ছে এটা খুব ভালো খবর আমাদের জন্য।