হোম অর্থ ও বাণিজ্য এক যুগের মধ্যে মে মাসে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

বাণিজ্য ডেস্ক:

গত এক যুগের মধ্যে চলতি বছরের মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১১ সালের পর ২০২৩ সালের মে মাসে এসে এমন উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি প্রত্যক্ষ করল বাংলাদেশ।

সোমবার (৫ জুন) বিবিএস প্রকাশিত সবশেষ তথ্যে এ কথা জানা গেছে। এছাড়া বিবিএসের ন্যাশনাল উইংয়ের পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এতে বলা হয়, দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এপ্রিলের ৯ দশমিক ২৪ শতাংশের তুলনায় মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে। যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি। আর গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ হয়েছিল।

এ ছাড়া মে মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৪০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে। এপ্রিলে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পাশাপাশি বেড়েছে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও। এটি গতমাসে ২৪ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য বলছে, খাদ্য (ফুড) ও খাদ্যবহির্ভূত (নন-ফুড) উভয় ক্ষেত্রের মূল্যস্ফীতিই সামগ্রিক বৃদ্ধির কারণ।

তবে এর আগে শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘যখন আমরা ক্ষমতায় আসি, তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশ। এরপর সেটি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। করোনা অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করায় সেটি ৬ শতাংশে রাখা সম্ভব হবে।’

মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারও শঙ্কিত উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারাবিশ্বই এখন মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। আমরা খাবার তো বন্ধ করতে পারব না। মানুষকে খাবার না দিয়ে রাখা যাবে না। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’ এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচুর খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আর বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন