হোম রাজনীতি এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না: আরআরআইকে জিএম কাদের

এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না: আরআরআইকে জিএম কাদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 39 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানিয়েছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় আইআরআই প্রতিনিধি দল।

দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্ণনা করে জিএম কাদের বলেন, ‘সকল মহল থেকে যেহেতু বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুতরাং এই সরকারের অধীনে কোনও নিরপেক্ষ ইলেকশন করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ফলশ্রুতিতে দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।’

বৈঠকে নেতৃত্ব দেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এই সময় জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ও উপদেষ্টা মেজর (অব) মো. মাহফুজুর রহমান। আইআরআই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস।

আইআরআই প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ক কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান, প্রচারণা ও পরামর্শদাতা জন ফ্লুহার্টি, পরামর্শক ডারিন বিয়েলেকি, অমিতাভ ঘোষ, সাইদা মুশরেফা জাহান।

দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণসহ সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় জিএম কাদের বলেন, ‘যদি দেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হতে পারে, তাহলে রাজনৈতিক স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। তখন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হবে এবং গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

‘গণভোট করা হবে অসাংবিধানিক’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমূলক সমাজ গঠনের যে জনআকাঙ্খা তৈরি হয়েছিল, তা আজ ধুলোয় মিশে গেছে। বাংলাদেশের নিবন্ধিত ৫৫টি দলের মধ্যে মাত্র ২৫টি দলকে ঐক্যমত্য কমিশন ডেকেছে। বাকী অর্ধেকেরও বেশি নিবন্ধিত দলগুলো (যাদের বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা নাই) বাদ রেখে সরকার নিজেদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের এই অবস্থায় যেহেতু আমাদের সংবিধানে কোনও গণভোটের অপশন নেই, তাই এই মুহূর্তে গণভোট করা হবে অসাংবিধানিক। যদি জাতির প্রয়োজনে গণভোটের প্রয়োজন হয় তবে তা অবশ্যই সংসদে পাশ করেই করা যেতে পারে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন