হোম অন্যান্যশিক্ষা ‘উপাচার্য হওয়া শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য’- ইবি উপাচার্য

‘উপাচার্য হওয়া শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য’- ইবি উপাচার্য

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 13 ভিউজ

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নতুন বাংলাদেশ না হলে আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসতে পারতাম না। আমি মনে করি উপাচার্য হওয়া আমার নিজের কোনো যোগ্যতা না। এই উপাচার্য হওয়া শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য। আমার একার পক্ষে এই ঋণ কতটুকু পরিশোধ করতে পারবো না জানি না। সবাইকে নিয়ে এই রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আমার মূল কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সংস্কার ও গবেষণা কাজকে তরান্বিত করা।

সোমবার (৩০ সেপ্টম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যদিও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, তবে তার মূলমন্ত্র হলো ইসলামী শিক্ষা ও জাগতিক শিক্ষার মাঝে সমন্বয় করা। এ দুটির একটিকে বাদ দিলেও সুন্দর সমাজ গঠনে কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ হবে না। আমি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মডেলকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুসরণ করার চেষ্টা করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ছিল একটি আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে নিয়ে আমি নিরলস চেষ্টা করবো এই প্রতিজ্ঞা করছি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, তোমাদের মূল পরিচয় তোমরা শিক্ষার্থী। আমি চাইবো তোমরা ক্লাসমুখী হবে। তোমরা ক্লাস-শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় এবং গবেষণা কেন্দ্রিক অধিকাংশ সময় ব্যয় করবে। তোমরা সময়ের সাথে জীবনকে না বাঁধলে পিছিয়ে যাবে। তোমরা আশাহত হবে না। আমি এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চাই না যেখানে ছাত্র নেই। এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্রদের নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এর পর জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান। সম্প্রতি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ দুই হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন