হোম আন্তর্জাতিক উত্তেজনার ভেতরেই তাইওয়ানের কাছে এফ-১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান তাদের বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত করল এফ-১৬ জঙ্গিবিমান। আকাশে তাইওয়ানের যুদ্ধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিল তাইপে সরকার।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) নতুন ভার্সনের এফ-১৬ জঙ্গিবিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন উন্মোচন করেন। আমেরিকার সহযোগিতায় এসব বিমানের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।

মার্কিন সামরিক সহযোগিতার জন্য ওয়াশিংটনের প্রশংসা করে সাই ইং বলেন, জঙ্গিবিমান উন্নতকরণ প্রকল্পের মধ্যদিয়ে তাইপে এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার অংশিদারিত্বের প্রমাণ ফুটে উঠেছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধের প্রতি অনুগত থাকব ততক্ষণ আমাদের মতো অনেক দেশ এই কাতারে এসে দাঁড়াবে।

এদিকে চীনের ঘোর বিরোধিতা সত্ত্বেও লিথুনিয়ায় কার্যত দূতাবাস খুলেছে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) তাইওয়ান নাম ব্যবহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অফিস খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

১৮ বছরের মধ্যে ইউরোপে প্রথম কূটনৈতিক কার্যালয় খুলল তাইপে। এর আগে জুলাইয়ে লিথুনিয়া জানিয়েছিল, তারা রাজধানী ভিলনিয়াসে তাইওয়ানকে একটি প্রতিনিধি অফিস খুলতে দিতে রাজি হয়েছে। এটা হবে তাইওয়ানের প্রতিনিধি কার্যালয়।

এর পরপরই আগস্টে বেইজিংয়ে লিথুনিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে ভিলনিয়াস থেকে চীনা রাষ্ট্রদূতও ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।

এবার লিথুনিয়ায় কার্যত তাইওয়ান দূতাবাস খোলার পদক্ষেপকে চরম জঘন্য কাজ বলে নিন্দা করেছে চীন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পথে কোনো পদক্ষেপ সফল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে মূলত দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এতে সব ধরনের পদক্ষেপের জন্য দায়ী করা হবে লিথুনিয়াকে।

বেইজিং জানায়, লিথুনিয়া অতিসত্বর তাদের ভুল শুধরে নেবে বলে দাবি জানাচ্ছি। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লিথুনিয়ায় আমাদের প্রতিনিধি অফিস খোলার মধ্য দিয়ে দুদেশের সম্পর্কের একটি নতুন ও সম্ভাবনাময় গতির সনদ তৈরি হবে। এছাড়া এতে প্রযুক্তিসহ সহযোগিতার ব্যাপক সুযোগও নিয়ে আসবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন