রাজনীতি ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে উত্তপ্ত রাজপথে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছে বলে মনে করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। দেশবাসী এ তফসিলের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
মাদানী বলেন, জনগণ এ তফসিল মানে না। দেশবাসী এ তফসিলের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। রাজপথ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। এ তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে ইসি সংকটের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করেছে। দেশবাসী ঘৃণাভরে এ তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের উদ্দেশে মাদানী বলেন, নির্বাচন নাটক করবেন না। দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জাতীয় সরকারবিহীন কোনো নির্বাচন জনগণ সহ্য করবে না।
‘বর্তমান কমিশন দিয়ে আপনাকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে দেব না। এখনও সময় আছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসুন। আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে নেবেন না। আপনার অশুভ খেলা বন্ধ করুন। পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে পার পাবেন না,’ যোগ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল ঘোষিত তফসিল দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসি। অবৈধ তফসিল ঘোষণা করে সিইসি দলদাসের চূড়ান্ত খেলা শুরু করেছে। নির্বাচন নাটক না করে আওয়ামী খেলোয়াড়দের তালিকা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে দিন। রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে পাতানো নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন না। অবিলম্বে পদত্যাগ করে চলে যান। শেখ হাসিনার অধীন বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মানে না। দেশবাসী নির্বাচনের নামে তামাশা হতে দেবে না। ১৪ আর ১৮ প্রহসনের নির্বাচনের কথা ভুলে যান। জনগণ এবার রাজপথে নেমে আসছে। এবার রাজপথেই ফয়সালা হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, নগর দক্ষিণ সহসভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন, সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম শরীয়তুল্লাহ।
ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংক ঘুরে হাউজ বিল্ডিং চত্বরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।