বগুড়া নন্দীগ্রামে ঈদের দিন ঘুরতে বের হয়ে আলাদা দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুসহ আহত হয়েছেন চারজন।
শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার কাথম বেড়াগাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দামগাড়া গ্রামের নান্টু মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (২৮), কাথম গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে বুলবুল (৩০) ও গাইবান্ধার সদর উপজেলা গোলাম হোসেনের ছেলে আবিদার হোসেন (২৪)।
নিহত ইমরানের স্ত্রী, ভাতিজা ও নিহত আবিদারের বন্ধু আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক আবুল হাসনাত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই যুবক নন্দীগ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে কুন্দারহাট থেকে নন্দীগ্রামের দিকে যাওয়া মোটরসাইকেলের সঙ্গে ওই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবিদার হোসেন নিহত হন। এ সময় অপর মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পৌঁছালে চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হযরত আলী বলেন, ওই যুবকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। বেপরোয়া গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাবু জানান, কাথম মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা হুট করে ঘোরালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বুলবুল ও মানিক নামে দুজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে শজিমেকে আনার পর চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক এসআই আবুল হাসনাত বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেলগুলো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।