হোম জাতীয় ইয়াং বাংলার নতুন সদস্য!

জাতীয় ডেস্ক :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলার’ মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি। ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৩১৫টি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ইয়াং বাংলার সদস্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি। এ সংগঠনে আরও একজন নতুন সদস্য এসেছেন।

শনিবার (১৪ মে) রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মা শেখ রেহানার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ইয়াং বাংলার নতুন সদস্য!

এ সময় সবাই মাস্ক পরে ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মাস্কটি ছিল ‘ইয়াং বাংলার’। সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীই হচ্ছেন ইয়াং বাংলার সেই নতুন সদস্য!

দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশে তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনগুলোকে তুলে আনার জন্যই ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ইয়াং বাংলা প্ল্যাটফর্ম। আনুষ্ঠানিক অভিযাত্রায় শরিক হয়েছিলেন দেশের ৬৪ জেলার ২৫০ তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধি।

তরুণ ও যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চআয়ের দেশে রূপান্তরের ভিশনকে সামনে নিয়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, সেটাকে আরও গতিশীল করতে ‘তোমার জয়ে বাংলার জয়’ স্লোগানে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে ‘ইয়াং বাংলা’ আত্মপ্রকাশ করে।

এ প্ল্যাটফর্ম থেকে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও দেশ গঠনে তাদের অবদান তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সিআরআইয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতি বছর সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া যুব উদ্যোক্তা ও সংগঠনকে অনুপ্রাণিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে তারাই পান ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হচ্ছে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’।

এছাড়া উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে প্রশিক্ষণ ও নানা ধরনের সহায়তা করছে ইয়াং বাংলা। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করেন। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলার’ মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে গভর্নেন্স অ্যান্ড হিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক অর্জনকারী রাদওয়ান একই প্রতিষ্ঠান থেকে কমপ্যারেটিভ পলিটিক্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘গ্রাফিক নভেল মুজিব’ প্রকাশের প্রধান কারিগর ও প্রকাশক রাদওয়ান।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশের পর শিশু-কিশোর ও তরুণদের কাছে তার ঘটনাবহুল জীবন নতুন রূপে তুলে ধরার জন্য বইটিকে গ্রাফিক নভেলে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাফিক নভেল হলেও বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম।

একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার দুই মেয়ে কীভাবে জীবন সংগ্রাম করেছেন সে সব ঘটনা নিয়ে ডকুড্রামা ‘হাসিনা: অ্যা ডটার টেইল’ নির্মাণের নেপথ্যে ছিলেন রাদওয়ান। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক ইতিহাসের ঘটনাবলী সামনে আনার প্রকল্পগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান।

এছাড়াও সিআরআই থেকে প্রকাশিত নীতি-নির্ধারণী ম্যাগাজিন হোয়াইটবোর্ডের প্রধান সম্পাদক রাদওয়ান মুজিব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন