আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় ভারত-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ইসলামাবাদ জেলা ও দায়রা আদালত চত্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তিনি বলেন, ‘ভারতের সন্ত্রাসী প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে— যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে এই অঞ্চলে প্রক্সি সংগঠনগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।’
একই দিন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ঘোষণা করেছেন, তাদের দেশ এখন ‘যুদ্ধাবস্থায়’ রয়েছে। মঙ্গলবার সোশ্যাল এক্স-পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি।’
পাকিস্তান কাদের সঙ্গে ‘যুদ্ধাবস্থায়’ আছে তা সরাসরি উল্লেখ না করে আসিফ ইঙ্গিত দেন, পাকিস্তানি তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার দায় স্বীকার করার পর আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের প্রতি ইসলামাবাদের ‘ধৈর্য ফুরিয়ে যাচ্ছে’। পাকিস্তান টিটিপিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আফগান তালেবানকে দায়ী করে, যদিও কাবুল এই দাবি অস্বীকার করে।
আসিফ বলেন, ‘যারা মনে করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল এবং বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই যুদ্ধ লড়ছে, তাদের ইসলামাবাদ জেলা আদালতে আজকের আত্মঘাতী হামলাকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে নেওয়া উচিত: এটি সমগ্র পাকিস্তানের জন্য একটি যুদ্ধ, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রতিদিন ত্যাগ স্বীকার করছে এবং জনগণকে নিরাপদ বোধ করাচ্ছে।’
এদিকে, মঙ্গলবারের আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হন। প্রায় দুই বছরের মধ্যে এটি ছিল শহরটিতে এই ধরণের প্রথম বোমা হামলা।
বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপি
টিটিপি দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের ‘অনৈসলামিক আইন’ প্রয়োগের কারণে আদালত কমপ্লেক্সের ‘বিচারক, আইনজীবী এবং কর্মকর্তাদের’ লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইসলামী শাসন জারি না হওয়া পর্যন্ত দেশজুড়ে আরও আক্রমণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মকর্তারা এর জন্য আফগান সীমান্তের ওপার থেকে পরিচালিত গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করছেন।
