আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি সপ্তাহে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। যা গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছে। হামলা ও পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৬০০ ইসরাইলি।
বিপরীতে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৪ হাজার ৮৫৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ জনই শিশু। আহত হয়েছে ৩৬ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনি। এর ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ৬ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ২৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫২ জন শিশু। আহত হয়েছে ২ হাজার ৭৫০ ফিলিস্তিনি।
এদিকে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির মধ্যে এ পর্যন্ত দুই দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মোট ১২০ জন বন্দি ছাড়া পেয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জন ইসরাইলি, ৭৮ জন ফিলিস্তিনি, ১৪ জন থাই ও একজন ফিলিপিনো।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদন মতে, শুক্রবার যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ১৩ জন ইসরাইলি শিশু ও বৃদ্ধকে মুক্তি দেয়। অপরদিকে নারী-শিশুসহ ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন হামাস নারী-শিশুসহ ১৩ জন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়। যার মধ্যে ছয়জন নারী ও সাতজন শিশুকে। বিপরীতে নারী ও শিশুসহ ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। যার মধ্যে ছয় জন নারী ও ৩৩ জন শিশু।