ইবি প্রতিনিধি:
নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের রজতজয়ন্তী ও দ্বিতীয় অ্যালামনাই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম।
এছাড়াও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিভাগটির অন্যান্য শিক্ষক ও সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রজতজয়ন্তী ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি-২০২৩ এর আহ্বায়ক এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার।
এর আগে, বেলা ১১টায় আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের এসে শেষ হয়। র্যালিতে অংশগ্রহণকারী সাবেক-বর্তমান সকলের মাঝে লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। বাদ্যযন্ত্রের তালে নাচে গানে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সকলে। র্যালি শেষে মিলনায়তনের সামনে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের পঁচিশ বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে আজকের এই আয়োজন। আমি প্রথমেই আজকের এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পঁচিশ বছর সময় টা বেশি নয় আবার কমও নয়। এই সময়ের মাধ্যমে একটা জাতিকে পরিবর্তন করা সম্ভব। আমাদের দেশের স্বাধীনতা লাভের পিছনের যে কারণ ছিল তার মধ্যে ছিল খাদ্য ও বস্ত্রের চাহিদা ছিল অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনকে আহবান করছেন আমরা কারো উপর নির্ভরশীল হতে চাই না। নিজ দেশের আঙ্গিনায় নিজেদের চাহিদা পূরনের জন্য উৎপাদন করব। মানুষের মধ্যে খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এছাড়াও ছাত্রদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি মাসে খাদ্য সচেতনতা ক্যাম্পেইন করা দরকার। যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের খাদ্য এবং পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। আজকে অ্যালামনাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা নিজেদের অবস্থান থেকে বিভাগের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণে সহযোগিতা করবেন। আজকের এই মুহুর্ত কে আপনারা স্মরণীয় বরণীয় করে রাখবেন।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এসময় সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের পুরনো বন্ধুদের সাথে নেচে গেয়ে মেতে ওঠেন আনন্দ উল্লাসে। যেন হারানো দিনের সেই যৌবনদীপ্ত মূহুর্তগুলো রঙিন হয়ে ধরা দিলো স্মৃতির পাতায়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন বটতলায় কফি আড্ডার আয়োজন করা হয়।